চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার ও তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাম শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভিপি পদপ্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এখনো সেই প্রক্রিয়া চলমান। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সুতরাং, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, এতদিন পর আমাদের যে জেনারেশন প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছে, তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে এবং কোনো ধরনের অসুবিধা বা অস্থিতিশীলতা ছাড়াই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।”
ধ্রুব আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ভোট না দেওয়ার কারণে আমাদের মধ্যে ভোটের প্রতি যে অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছিল, ৩৫ বছর পর আজকের এই নির্বাচন সেই বিশ্বাস ফিরে আনার একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারত। আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল এবং একটি ঐতিহাসিক দিন হতে পারত। সকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আগ্রহ দেখা গেছে, তা আমাদের আনন্দিত করেছে। কিন্তু দুপুরের পর কিছু ঘটনা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা এই নির্বাচনকে নানাভাবে কলঙ্কিত করেছে।”
অনিয়মের উদাহরণ তুলে ধ্রুব বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভোটের সময় যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা মোচনীয়। অর্থাৎ, দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কালি মুছে যাচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের সিগনেচার নেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৩৫৩ নম্বর কক্ষে একই আইডি দিয়ে দুইবার ভোটদান, নতুন কলা ভবনের একটি কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ না দেওয়া, নতুন কলা ভবনের এলইডি ডিসপ্লে ভাঙা, ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি বাধা দেওয়ার হুমকির ঘটনা ঘটেছে।
ধ্রুব বলেন, “যে নানাভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে, তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই অভিযোগগুলো মীমাংসা করতে হবে।”
তবে তিনি উল্লেখ করেন, এসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভোট বর্জন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার ও তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাম শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভিপি পদপ্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এখনো সেই প্রক্রিয়া চলমান। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সুতরাং, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, এতদিন পর আমাদের যে জেনারেশন প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছে, তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে এবং কোনো ধরনের অসুবিধা বা অস্থিতিশীলতা ছাড়াই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।”
ধ্রুব আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ভোট না দেওয়ার কারণে আমাদের মধ্যে ভোটের প্রতি যে অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছিল, ৩৫ বছর পর আজকের এই নির্বাচন সেই বিশ্বাস ফিরে আনার একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারত। আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল এবং একটি ঐতিহাসিক দিন হতে পারত। সকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আগ্রহ দেখা গেছে, তা আমাদের আনন্দিত করেছে। কিন্তু দুপুরের পর কিছু ঘটনা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা এই নির্বাচনকে নানাভাবে কলঙ্কিত করেছে।”
অনিয়মের উদাহরণ তুলে ধ্রুব বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভোটের সময় যে কালি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা মোচনীয়। অর্থাৎ, দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কালি মুছে যাচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের সিগনেচার নেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পারার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৩৫৩ নম্বর কক্ষে একই আইডি দিয়ে দুইবার ভোটদান, নতুন কলা ভবনের একটি কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ না দেওয়া, নতুন কলা ভবনের এলইডি ডিসপ্লে ভাঙা, ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি বাধা দেওয়ার হুমকির ঘটনা ঘটেছে।
ধ্রুব বলেন, “যে নানাভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে, তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই অভিযোগগুলো মীমাংসা করতে হবে।”
তবে তিনি উল্লেখ করেন, এসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভোট বর্জন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।