ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অবশেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভোট। প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী আজ বেছে নেবেন তাদের নেতৃত্ব। নির্বাচিত করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে তাদের প্রতিনিধি।
রাকসুর ভোটে জালিয়াতি করার সুযোগ নেই: নির্বাচন কমিশন
রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি
আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করছে না আরএমপি
তবে এই নির্বাচন নিয়েও হয়েছে বহু নাটকীয়তা। হওয়ার কথা ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু একের পর এক পরিবর্তনে তারিখ গড়ায় ১৬ অক্টোবর। কখনো ধর্মীয় উৎসবের ছুটি নিয়ে প্রশাসনের তালগোল, কখনো আন্দোলন, আবার কখনো প্রশাসনিক জটিলতায় থমকে ছিল ভোটযাত্রা। অবশেষে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ক্যাম্পাস এখন প্রস্তুত নির্বাচনের এক ঐতিহাসিক ভোরকে স্বাগত জানানোর জন্য।
ইতিহাসের আয়নায় রাকসু
রাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২৯ জুলাই। সেবারও এক মাস পিছিয়েছিল নির্বাচন। তার আগের বছর ১৯৮৯ সালের ২৫ মার্চ হয়েছিল ভোট। সেবার ৯ বছর পর।
তখন পরপর দু’বছর নির্বাচন হয়ে উঠেছিল উৎসবের রঙে ভরা গণতান্ত্রিক উদযাপন। সর্বশেষ নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন ছাত্রদলের রুহুল কবির রিজভী, আর জিএস পদে জয়ী হয়েছিলেন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের বড় অংশের প্রার্থী জাসদ ছাত্রলীগের রুহুল কুদ্দুস বাবু।
এবার, ৩৫ বছর পর আবারও সেই চেনা উত্তেজনা, সেই প্রাণের উচ্ছ্বাসে মুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রার্থী এবং ভোটার
রাকসুতে ২৮ হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থী এবার ভোট দেবেন ২৩টি পদে প্রতিনিধি তাদের বেছে নিতে। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৫ জন।
রাকসুতে ২৪৭ জন প্রার্থী লড়ছেন নেতৃত্বের আসনে বসার জন্য। ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। একজন ভোটারকে ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪৩টি ভোট। প্রতি ভোটে সময় গড়ে মাত্র ১৪ সেকেন্ড!
প্রচারণায় নতুন সময়ের ছোঁয়া
আগের মতো গান, নাটক এবারও ছিল। তবে নতুনত্ব ভিডিও। কেউ গান গেয়ে ভোট চাইছেন, কেউ অভিনয়ে তুলে ধরছেন নিজের প্রতিশ্রুতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলেছে এক অনন্য লড়াই লাইক, শেয়ার আর কমেন্টের প্রতিযোগিতা এখন নতুন প্রচারণার হাতিয়ার।
নিরাপত্তা, প্রস্তুতি
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলবৎ। বুধবার,(১৫ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার পুলিশ, ১৮ প্লাটুন ও বিজিবি। উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আশা করছি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম জানান, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আদর্শ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’ তিনি বলেন, নির্বাচনে জালিয়াতির ‘কোনো সুযোগ নেই।’
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
আর ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির ৯ সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। একজন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ২০০ গজের মধ্যে মিছিল, সমাবেশ ও বিস্ফোরক বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
প্রক্টর অফিস থেকেও ঘোষণা এসেছে - ক্যাম্পাসে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় স্টিকারযুক্ত যানবাহন চলতে পারবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অবশেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ভোট। প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী আজ বেছে নেবেন তাদের নেতৃত্ব। নির্বাচিত করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে তাদের প্রতিনিধি।
রাকসুর ভোটে জালিয়াতি করার সুযোগ নেই: নির্বাচন কমিশন
রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি
আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করছে না আরএমপি
তবে এই নির্বাচন নিয়েও হয়েছে বহু নাটকীয়তা। হওয়ার কথা ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু একের পর এক পরিবর্তনে তারিখ গড়ায় ১৬ অক্টোবর। কখনো ধর্মীয় উৎসবের ছুটি নিয়ে প্রশাসনের তালগোল, কখনো আন্দোলন, আবার কখনো প্রশাসনিক জটিলতায় থমকে ছিল ভোটযাত্রা। অবশেষে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ক্যাম্পাস এখন প্রস্তুত নির্বাচনের এক ঐতিহাসিক ভোরকে স্বাগত জানানোর জন্য।
ইতিহাসের আয়নায় রাকসু
রাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২৯ জুলাই। সেবারও এক মাস পিছিয়েছিল নির্বাচন। তার আগের বছর ১৯৮৯ সালের ২৫ মার্চ হয়েছিল ভোট। সেবার ৯ বছর পর।
তখন পরপর দু’বছর নির্বাচন হয়ে উঠেছিল উৎসবের রঙে ভরা গণতান্ত্রিক উদযাপন। সর্বশেষ নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন ছাত্রদলের রুহুল কবির রিজভী, আর জিএস পদে জয়ী হয়েছিলেন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের বড় অংশের প্রার্থী জাসদ ছাত্রলীগের রুহুল কুদ্দুস বাবু।
এবার, ৩৫ বছর পর আবারও সেই চেনা উত্তেজনা, সেই প্রাণের উচ্ছ্বাসে মুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রার্থী এবং ভোটার
রাকসুতে ২৮ হাজার ৯০১ জন শিক্ষার্থী এবার ভোট দেবেন ২৩টি পদে প্রতিনিধি তাদের বেছে নিতে। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৫ জন।
রাকসুতে ২৪৭ জন প্রার্থী লড়ছেন নেতৃত্বের আসনে বসার জন্য। ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। একজন ভোটারকে ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪৩টি ভোট। প্রতি ভোটে সময় গড়ে মাত্র ১৪ সেকেন্ড!
প্রচারণায় নতুন সময়ের ছোঁয়া
আগের মতো গান, নাটক এবারও ছিল। তবে নতুনত্ব ভিডিও। কেউ গান গেয়ে ভোট চাইছেন, কেউ অভিনয়ে তুলে ধরছেন নিজের প্রতিশ্রুতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলেছে এক অনন্য লড়াই লাইক, শেয়ার আর কমেন্টের প্রতিযোগিতা এখন নতুন প্রচারণার হাতিয়ার।
নিরাপত্তা, প্রস্তুতি
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলবৎ। বুধবার,(১৫ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার পুলিশ, ১৮ প্লাটুন ও বিজিবি। উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আশা করছি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম জানান, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আদর্শ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’ তিনি বলেন, নির্বাচনে জালিয়াতির ‘কোনো সুযোগ নেই।’
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
আর ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির ৯ সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। একজন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ২০০ গজের মধ্যে মিছিল, সমাবেশ ও বিস্ফোরক বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
প্রক্টর অফিস থেকেও ঘোষণা এসেছে - ক্যাম্পাসে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় স্টিকারযুক্ত যানবাহন চলতে পারবে।