alt

জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ হিন্দু শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি, জবি : বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শিক্ষালয়টির সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি কালীপূজার অনুমতি এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন।তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ছাত্রফ্রন্টের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং পূজা আয়োজন নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ দুপুরে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা।এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে উপাচার্য দপ্তরে তারা স্মারকলিপি দেন।

সমাবেশে বলা হয়, কালীপূজা উদযাপনের অনুমতি চেয়ে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি মৌখিক অনুমতি দেন। পরে আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাইলে ‘নিরাপত্তার দোহাই’ দিয়ে সেই অনুমতি দেয়া হয়নি।

বক্তারা অভিযোগ করেন, আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাওয়ার দিন প্রক্টর তাজাম্মুল হক বলেন, ‘কালীপূজা তো উত্তর ভারতের পূজা’। এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য রেজাউল করিমের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নতুন কোনো পূজার ট্রাডিশন শুরু করতে দেয়া যাবে না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি সুমন কুমার দাস বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রষ্ঠার দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হয়ে আসছে। আমরা বারবার প্রশাসনের নিকট গিয়েছি, আর তারা প্রত্যেকবার আমাদের মুলা দেখিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে চব্বিশের অভ্যুত্থানে আমরা ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম।কিন্তু চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরেও আমরা বৈষম্যের শিকার।

আমরা প্রশাসনের কাছে গেলে তারা বলে যে- আমাদের পূজার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। নিরাপত্তা যদি নাই দিতে পারেন, তাহলে গদি ছাড়েন; নিরাপত্তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের অধিকার। যারা নিরাপত্তা দিতে পারবে, তারাই আসুক।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘এই বাংলায় অসাম্প্রদায়িকতা আপনারা তৈরি করেন নাই, সেটা শত শত বছরের ঐতিহ্য। এই বাংলা যতটা আপনার, ততটা আমার; যতটা হিন্দুর, ততটা মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানের।আপনারা সেই শক্তির অংশ, যারা বিভাজন ও বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।

ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং, শৃঙ্খলাভঙ্গসহ বিভিন্ন দায়ে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

স্টামফোর্ডে সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত

ছবি

স্টামফোর্ডে নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা অনুষ্ঠান: পিসিওএস ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ভোটার আসার আগেই শতাধিক ব্যালটে স্বাক্ষর, কারচুপির অভিযোগ

ছবি

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শেষ হলো রাকসুর ভোট, ফলাফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ৫ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ‘৬০ শতাংশ’

ছবি

রাকসুর ভোট: বাইরে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান

ছবি

রাকসু: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের

ছবি

🔴 সরাসরি: অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শেষ হলো রাকসুর ভোট, ফলাফলের অপেক্ষা

রাকসু: ভোট দিলেন ছাত্রশিবিরের ভিপি-জিএস প্রার্থী, তারপর যা বললেন

ছবি

রাকসু: ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রদলের ভিপি-জিএস প্রার্থী

ছবি

রাকসু: আড়াই ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে একচেটিয়া জয় শিবিরের

ছবি

রাকসু: ভোট গ্রহণ শুরু

ছবি

রাকসু: ৩৫ বছর পর ভোট, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ

ছবি

চাকসু: উৎসবমুখর ভোট, অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি উত্তেজনা

ছবি

অনিয়মের অভিযোগ তুলেও ভোট বর্জন নয়: চবি ছাত্রদলের অবস্থান

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

ছবি

রাকসু ভোটে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই, ১৭ ঘন্টায় ফল: নির্বাচন কমিশন

ছবি

রাকসু: ভোটে আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা ‘করছেন না’ আরএমপি কমিশনার

ছবি

রাকসু: ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি

চাকসু: নানা অভিযোগ, ভোট বর্জন ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব’ শিক্ষার্থী সংগঠনের

চাকসু নির্বাচন: ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগত প্রবেশের’ অভিযোগ শিবির ও ছাত্রদলের

চাকসু নির্বাচন: ভোটের কালি ‘মুছে যাওয়ার’ অভিযোগ ছাত্রদলের তৌফিকের

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন, ‘মুক্ত ক্যাম্পাসের’ স্বপ্ন নিয়ে ভোট দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ছবি

রাকসু: বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করলো ছাত্রদল, নিজেও নিলেন অব্যাহতি

ছবি

প্রতিবাদে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ব্লকেড শিক্ষার্থীদের

ছবি

সাড়ে তিন দশক পর চাকসু নির্বাচন বুধবার

ছবি

রাকসু: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত, আশা ও শঙ্কার দোলাচলে প্রার্থীরা

ছবি

রাকসু: ছাত্রদল প্যানেলকে সমর্থন, ভোট থেকে সরে দাড়ালেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন: নিরাপদ ও নারীবান্ধব ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা ছাত্রীদের

tab

জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ হিন্দু শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি, জবি

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শিক্ষালয়টির সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি কালীপূজার অনুমতি এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন।তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ছাত্রফ্রন্টের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং পূজা আয়োজন নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ দুপুরে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা।এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে উপাচার্য দপ্তরে তারা স্মারকলিপি দেন।

সমাবেশে বলা হয়, কালীপূজা উদযাপনের অনুমতি চেয়ে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি মৌখিক অনুমতি দেন। পরে আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাইলে ‘নিরাপত্তার দোহাই’ দিয়ে সেই অনুমতি দেয়া হয়নি।

বক্তারা অভিযোগ করেন, আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাওয়ার দিন প্রক্টর তাজাম্মুল হক বলেন, ‘কালীপূজা তো উত্তর ভারতের পূজা’। এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য রেজাউল করিমের কাছে গেলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নতুন কোনো পূজার ট্রাডিশন শুরু করতে দেয়া যাবে না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি সুমন কুমার দাস বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রষ্ঠার দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হয়ে আসছে। আমরা বারবার প্রশাসনের নিকট গিয়েছি, আর তারা প্রত্যেকবার আমাদের মুলা দেখিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে চব্বিশের অভ্যুত্থানে আমরা ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম।কিন্তু চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরেও আমরা বৈষম্যের শিকার।

আমরা প্রশাসনের কাছে গেলে তারা বলে যে- আমাদের পূজার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। নিরাপত্তা যদি নাই দিতে পারেন, তাহলে গদি ছাড়েন; নিরাপত্তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের অধিকার। যারা নিরাপত্তা দিতে পারবে, তারাই আসুক।’

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘এই বাংলায় অসাম্প্রদায়িকতা আপনারা তৈরি করেন নাই, সেটা শত শত বছরের ঐতিহ্য। এই বাংলা যতটা আপনার, ততটা আমার; যতটা হিন্দুর, ততটা মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানের।আপনারা সেই শক্তির অংশ, যারা বিভাজন ও বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।

back to top