বকশিবাজারে গভীর রাতে আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে গভীর রাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল। এসময় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রধান ফটকে শিবিরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের অধিকাংশই শিবিরের কর্মী।
তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার রাতে শিবিরের পক্ষ থেকে মূল ফটকে তিতুমীর এবং ভাষা আন্দোলনের চিত্রকর্মে তারা ব্যানার লাগায়। ‘কলেজে অনেক জায়গা থাকার পরেও সেখানে লাগানোর বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী বলে ওঠে, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি অ্যালার্জি আছে?’ এরপরেই ধাক্কা দিয়ে তারা একজনকে ফেলে দেয়।’ ইমাম হোসেনের ভাষ্য, পরে ছাত্রাবাসে খবর গেলে সেখান থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রদলের ছেলেরাও আসে।
তবে ঘটনার বর্ণনায় তিতুমীর কলেজ শিবিরের সভাপতি খাদেমুল ইসলাম সিয়াম বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানতে তারা বেশ কয়েকটি ব্যানার টাঙালে রাতে ছাত্রদল খুলে ফেলে। রাতে নতুন করে লাগাতে গেলে তারা বাধা দেয়। ‘পরে হাঙ্গামা এড়াতে সকালে লাগাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে আসতে চাইলে গেইট বন্ধ করে তারা হামলা চালায়।’ এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ তাদের ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। গত শনিবার গভীর রাতের এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর দিয়েছেন চকবাজার থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে মাদ্রাসায় বাড়তি পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এসআই আশরাফুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।’ রাত আড়াইটার দিকে মাদ্রাসার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ থাকার কথা জানান তিনি। তবে কী কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা তা জানাতে পারেননি চকবাজার থানা পুলিশের এই সদস্য। এসআই আশরাফুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যেই দুটি গ্রুপের ঝামেলার কথা শুনেছি, এখানে বাইরের কোনো পক্ষ জড়িত বলে জানা যায়নি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বকশিবাজারে গভীর রাতে আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে গভীর রাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল। এসময় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রধান ফটকে শিবিরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের অধিকাংশই শিবিরের কর্মী।
তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার রাতে শিবিরের পক্ষ থেকে মূল ফটকে তিতুমীর এবং ভাষা আন্দোলনের চিত্রকর্মে তারা ব্যানার লাগায়। ‘কলেজে অনেক জায়গা থাকার পরেও সেখানে লাগানোর বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী বলে ওঠে, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি অ্যালার্জি আছে?’ এরপরেই ধাক্কা দিয়ে তারা একজনকে ফেলে দেয়।’ ইমাম হোসেনের ভাষ্য, পরে ছাত্রাবাসে খবর গেলে সেখান থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রদলের ছেলেরাও আসে।
তবে ঘটনার বর্ণনায় তিতুমীর কলেজ শিবিরের সভাপতি খাদেমুল ইসলাম সিয়াম বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানতে তারা বেশ কয়েকটি ব্যানার টাঙালে রাতে ছাত্রদল খুলে ফেলে। রাতে নতুন করে লাগাতে গেলে তারা বাধা দেয়। ‘পরে হাঙ্গামা এড়াতে সকালে লাগাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে আসতে চাইলে গেইট বন্ধ করে তারা হামলা চালায়।’ এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ তাদের ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। গত শনিবার গভীর রাতের এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর দিয়েছেন চকবাজার থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে মাদ্রাসায় বাড়তি পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এসআই আশরাফুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।’ রাত আড়াইটার দিকে মাদ্রাসার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ থাকার কথা জানান তিনি। তবে কী কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা তা জানাতে পারেননি চকবাজার থানা পুলিশের এই সদস্য। এসআই আশরাফুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যেই দুটি গ্রুপের ঝামেলার কথা শুনেছি, এখানে বাইরের কোনো পক্ষ জড়িত বলে জানা যায়নি।’