ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে উপাচার্য বলছেন আদালতের যে কোনো সিদ্ধান্তই মেনে নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যেই ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ‘পোষ্য কোটা বাতিল আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। অবস্থান কর্মসূচি পালন সময় ‘বাপের জোরে সিট নয়, মেধার জোরে সিট চাই’, ‘পোষ্য কোটা বহাল থাকে ডাকসু কি করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
পোষ্য কোটা বাতিল আন্দোলনের সদস্য মো. রাকিব বলেন, আমরা ডাকসু ও সবগুলো হল সংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্বারকলিপি দিয়েছি কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের করের টাকায় চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা বহাল রাখা স্পষ্টতই একটি প্রহসন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ১ জন শিক্ষার্থী ও পোষ্য কোটা দিয়ে ভর্তি হোক তা আমরা চাই না।
এদিন বেলা ১১টায় পরীক্ষা চলাকালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য ও প্রক্টর। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, পোষ্য কোটা নিয়ে আদালত যে নির্দেশনা দেবে তার আলোকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, সবাই মেধার পক্ষে। এই পোষ্য কোটার বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আদালতের যে কোনো নির্দেশনা শিরধার্য।
এর আগে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা চলে পরীক্ষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট চারটি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩৪ হাজার ৬২ জন ভর্তিচ্ছু। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য পরীক্ষায় বসেন প্রায় ৩৩ শিক্ষার্থী। আসন বণ্টন অনুযায়ী, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৯৩০ জন, বিজ্ঞান শাখা থেকে ৯৫ জন এবং মানবিক শাখা থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে উপাচার্য বলছেন আদালতের যে কোনো সিদ্ধান্তই মেনে নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যেই ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ‘পোষ্য কোটা বাতিল আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। অবস্থান কর্মসূচি পালন সময় ‘বাপের জোরে সিট নয়, মেধার জোরে সিট চাই’, ‘পোষ্য কোটা বহাল থাকে ডাকসু কি করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
পোষ্য কোটা বাতিল আন্দোলনের সদস্য মো. রাকিব বলেন, আমরা ডাকসু ও সবগুলো হল সংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্বারকলিপি দিয়েছি কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের করের টাকায় চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা বহাল রাখা স্পষ্টতই একটি প্রহসন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ১ জন শিক্ষার্থী ও পোষ্য কোটা দিয়ে ভর্তি হোক তা আমরা চাই না।
এদিন বেলা ১১টায় পরীক্ষা চলাকালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য ও প্রক্টর। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, পোষ্য কোটা নিয়ে আদালত যে নির্দেশনা দেবে তার আলোকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, সবাই মেধার পক্ষে। এই পোষ্য কোটার বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আদালতের যে কোনো নির্দেশনা শিরধার্য।
এর আগে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা চলে পরীক্ষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট চারটি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩৪ হাজার ৬২ জন ভর্তিচ্ছু। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য পরীক্ষায় বসেন প্রায় ৩৩ শিক্ষার্থী। আসন বণ্টন অনুযায়ী, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৯৩০ জন, বিজ্ঞান শাখা থেকে ৯৫ জন এবং মানবিক শাখা থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।