প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনের সামনের সংযোগ সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাইকোর্ট মোড় থেকে সচিবালয় অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার, (০৮ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেয়। তারা সড়কে বসে দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
তখন হাইকোর্ট মোড় থেকে সচিবালয় অভিমুখের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। এতে এই লেন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, অধ্যাদেশ জারি হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়ে এক বছর পার হয়ে গেছে। সেখানে আমরা সেশন জটের মুখে। আমরা দ্রুত অধ্যাদেশ চাই।’
এর আগে গতকাল রোববার দুপুর থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর থেকে সড়কে অবস্থান নিয়ে দাবি জানানোর পর রাতে তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে।
কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।
তবে প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারাদেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তারা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এছাড়া কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানাচ্ছেন।
তাছাড়া উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছেন, স্কুলিং কাঠামোতে কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।