বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফির’ আখ্যা দেওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেইসবুকে তার আগের পোস্ট ‘অনিচ্ছায়’ মুছে দেওয়ার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তিনি আরেকটি বিতর্কিত পোস্ট দেন। সেখানে তিনি আবার উস্কানিমূলক কথা লিখেন।
সর্বশেষ পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমার পোস্ট দেওয়ার পর থেকে আমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, যা আমার পরিবার ও আমার জন্য অনেক ভারি হয়ে যাচ্ছে।
‘আমি ঈমান ভঙ্গের মূলনীতির উপর বিবৃতিটা দিয়েছিলাম। আমার বক্তব্য ফতওয়ার মত শোনা গিয়েছে। আর ফতওয়া দেওয়ার অধিকার আলেমদের, আমার না। তাই, আমি আমার পোস্ট ডিলিট করে দিলাম।’
এর আগে সেদিন বিকেলে ফেইসবুকে আরেক পোস্টে মাহমুদুল হাসান লিখেন, ‘বেগম রোকেয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নাজিলকৃত কিতাব অস্বীকার করেছেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাত অস্বীকার করেন, তাকে প্রতারক বলেছেন, আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এত কিছুর পরে কোনো মানুষের ইমান থাকতে পারে না।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমার বক্তব্য একটু ফতওয়ার মতো মনে হচ্ছে। ফতোয়া দেওয়ার অধিকার আলেমদের, আমার না। এই জায়গায় অনধিকার চর্চা করেছি বলতে পারেন। ইমান ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে যার মোটামুটি ধারণা আছে, তিনি কখনই এমন কাউকে ইমানদার বলবেন না।’
এর আগে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ব্যক্তিগত ফেইসবুক টাইমলাইনে একটি পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফির’ বলেন। তার মন্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। তারপর তিনি ওই বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেলেন।