জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা সবার বিচার এই স্বাধীন বাংলাদেশে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে তদন্ত সংস্থার আহ্বানে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে জবানবন্দি দিতে যান ভিপি সাদিক কায়েম, ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাঁরা জবানবন্দি দেন। পরে সাংবাদিকদের জানান, দুপুরের পরও তাঁরা আরও জবানবন্দি দেবেন।
দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম বলেন, ঢাবির সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামালের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। তাঁকে বিভিন্নভাবে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক সংগঠনের একটি পক্ষ মাকসুদ কামালকে সেফ এক্সিট দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মাকসুদ কামাল বহিরাগতদের ঢাবি ক্যাম্পাসে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর বিচার হবেই। মাকসুদ কামালসহ প্রক্টরিয়াল বডিতে যারা ছিলেন, প্রশাসনে যারা ছিলেন—সবার বিচার হবে। তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তের দাগ লাগিয়েছে, ভাইবোনদের রক্তাক্ত করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে যেভাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে, তার চেয়ে বর্বর কায়দায় আমাদের ভাইবোনদের ওপর হামলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সব প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে এবং এসব তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
সাদিক কায়েম জানান, জুলাইয়ে সংঘটিত গণহত্যা, শিশু হত্যা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনায় যে সব ব্যক্তি শেখ হাসিনার সহযোগী ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিতেই তাঁরা উপস্থিত হয়েছেন।
অর্থ-বাণিজ্য: ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর অনুমোদন পেল বাংলালিংক
অর্থ-বাণিজ্য: ডিসেম্বরের ৯ দিনেই এসেছে ১১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স