ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থি নীল দলের আলোচিত শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন। বৃহস্পতিবার, (১১ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের আওয়ামীপন্থি নীল দলের শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদা ।
এর আগে আ ক ম জামাল ও জিনাত হুদাসহ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যান। পরে শিক্ষার্থীরা এ খবরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন। দুপুর একটার দিকে ভবন থেকে বের হতেই ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে আ ক ম জামালকে ধাওয়া দেয়া হয়। পরে তিনি দৌড়ে ভবনের নিচে রাস্তায় চলে যান। এ সময় এবি জুবায়েরও তার পেছনে পেছনে ছুটেন। পরে তাদের সঙ্গে থাকা প্রাইভেটকারে করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তারা দু’জন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেইসবুকে শেয়ার করে এবি জুবায়ের লিখেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশ ফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আ কম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!
তিনি আরও লেখেন, এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কীভাবে পায়! প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। খুনিদের সঙ্গে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।
উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের এই শিক্ষককে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ও কোটা সংষ্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করেন। এ শিক্ষক বিতর্কিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক ছিলেন। মঞ্চের শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা, কোরআন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দলিল দেয়া এবং ২৩ সালে এ বক্তব্য নির্বাচন ছাড়াই তৎকালীন সংসদের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে বক্তব্য দিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় এ শিক্ষক।