image

রাকসু জিএস সালাহউদ্দিনকে আম্মারকে ‘হত্যার হুমকি’

রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘হত্যার’ হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় করা এক পোস্টে এ হুমকি দেয়া হয়েছে। যদিও সেই পোস্টে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আসাদুল্লা-হিল-গালিব ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দয়া করে আমার ক্যাম্পাসের টাকে কেউ কিছু করবেন না, অনুরোধ রইলো। ওইটা শুধু আমার আর আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ভাগ।’

আসাদুল্লা-হিল-গালিব আরও লিখেছেন, ‘ছোটভাই প্রটেকশন বাড়াও। ৮০সিসি বাইক নিয়ে একা একা ঘুরাঘুরি করো না। আর তোমার আব্বার সাদিক কায়েম হেলিকপ্টারে যাতায়াত করে তুমি অন্তত প্লেনে ঢাকা যাবা। তা নাহলে যমুনার আগে ও পরে একটা কিছু হলেও হতে পারে। আমি চাই তুমি বেঁচে থাকো, অনেক হিসাব আছে।’

গালিবের এই পোস্টে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু কমেন্টে মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া কর, যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ওইদিনই ‘আসাদুল্লা-হিল-গালিবের ফেইসবুকে ওই পোস্ট দেওয়া হয়।

এমন ঘটনার পর সালাহউদ্দিন আম্মারকে হুমকি দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও নানা প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে তিনটি দলের নেতাদের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের পক্ষ থেকে ইউনূস জানান, ‘এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন বানচালের জন্য প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’

ড্যাল্টন সৌভত হীরা নামের এক ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ নভেম্বর দেওয়া এক উস্কানিমূলক পোস্টে লেখা হয়, ‘১৩ তারিখের মধ্যে কিছু মানুষের পাওনাটুকু যেন বুঝিয়ে দেয়া হয়, যদি তারা সাহস করে বের হয়– হাদি একজন, সালাহউদ্দিন আম্মার একটা, এনসিপির টোকাইগুলো কয়েকটা, ৩২ ভাঙার যাবতীয় উস্কানি দেয়া হাসান রোবায়েত, হুজাইফা, মাহদূহ, হিযু বাহিনীর একেকটা।’

এরপর থেকে আম্মারের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে সালাহউদ্দিন আম্মার শনিবার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রথম টার্গেট কেনো হইলাম না? আমার হাদী ভাই তো সাবধান হয়ে যেতে পারতো! ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই জারি থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। হাদীদের প্রত্যেকটা ফোটা রক্তে বিপ্লবের ইতিহাস লিখবে। আরে আল্লাহর জান আল্লাহ নিবে, আমি আটকানোর কে?’

সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাইয়ের তিন মাস পর থেকেই কল, মেসেজ, ইমেইলসহ নানা মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারেরা হুমকি দিয়ে আসছে। এক পোস্টে হাদি ভাইয়ের পর আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। এ জায়গায় কিছুটা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। আমরা এমন পথ বেছে নিয়েছি, হুমকি তো আসবেই। এগুলো এতো গুরুত্ব দিচ্ছি না।’

‘ক্যাম্পাস’ : আরও খবর

» ঢাবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ

» আওয়ামীপন্থি শিক্ষককে হেনস্থা করলেন ডাকসু নেতা

সম্প্রতি