জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ২ দফা দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন ও আহবায়ক মেহেদী হাসান হিমেল এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুল আরেফিন বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল এই নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রত্যাশা রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে কিছু মৌলিক বিষয় অবহেলিত হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতীতে চারটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন-ডাকসু, জাকসু, ডাকসু (রাকসু) ও জাবি- ডিজিটাল কারচুপি ও ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এসব অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা আজকে দুইটি দাবি জানাচ্ছি।
এসময় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিকট সুনিদিষ্ট ২ দফা দাবি পেশ করছি।
দুই দফা দাবি হলো:
১. প্রযুক্তিগত কোনো জটিলতা বা ডিজিটাল কারচুপির ন্যূনতম সুযোগ যাতে না থাকে, সেজন্য আমরা ব্যালট পেপারে প্রদানকৃত ভোটগুলো স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের সামনে ম্যানুয়ালি বা হাতে গণনার জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রতিটি প্রার্থীর এজেন্টের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার সাথে ভোট গণনা নিশ্চিত করতে হবে।
২. ভোট গণনার পর ফলাফল নিয়ে কোনো প্রকার লুকোচুরি বা কেন্দ্র পরিবর্তনের মাধ্যমে কারচুপি রোধে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের গণনা শেষে সেই কেন্দ্রেই তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। এরপর প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি সকল প্রার্থীর এজেন্টের হাতে সরবরাহ করতে হবে।
মেহেদী হাসান হিমেল আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর কোনো পাতানো বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেখতে চায় না। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়, তবেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে। অন্যথায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার রক্ষায় ছাত্রদল কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন কোনো বিশেষ মহলের তল্পিবাহক না হয়ে শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতিফলন ঘটাবে।
সারাদেশ: ডিমলায় শাখা নদীগুলো মরা খালে পরিণত