alt

প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, বেগম জিয়া নিজে এতটা পারতেন কি না, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

খালেদার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটি নজিরবিহীন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত খালাস দেননি। তিনি জামিনও পাননি। এরপরও তাকে কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে। তিনি যখন কারাগারে ছিলেন, সঙ্গে একজন গৃহপরিচারিকাও দেওয়া হয়েছিল। এর সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার মহানুভবতার কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তা ব্যক্তি হিসেবে তিনি (মন্ত্রী) নিজেও দেখাতে পারতেন না, অন্য কেউও পারত না। খালেদা জিয়া নিজে পারতেন কি না সেই প্রশ্ন তোলা উচিৎ।

বেগম খালেদা জিয়া তো সেই ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে তারই ছেলের পরিচালনায়। সেই গ্রেনেড হামলার পর তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে হাস্যরস করে বলেছিলেন, নেত্রী নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই ব্যক্তি, যার দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০-২৫ মিনিট দাঁড়িয়েছিল তার ছেলের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানোর জন্য। কিন্তু, তিনি দরজা খোলেননি। তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছিলেন। অশোভন আচরণ করে তিনি সেদিন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি সেই মানুষ, যিনি নিজের জন্মের তারিখটা বদলে দিয়ে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডকে উপহাস করার জন্য সেদিন ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটেন, বলেন হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে নানা আনন্দ-আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় কেক কাটা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ছাত্রজীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘চাকসু ভবনের সামনে থেকে ১৯৮৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তখন চট্টগ্রাম শহরে খবর রটেছিল আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার শরীরে এখনো বহু নির্যাতনের দাগ আছে। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলার দাগ যেমন আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহু নির্যাতনের দাগ এখনও আমার শরীরে আছে। আবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের বিতর্ক টিমের ক্যাপ্টেন হিসেবে তখন জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। আমার জীবনকে এই পর্যায়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু অবদান আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান ও সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য নয়, সেখানে পাঠদান হবে, ডিগ্রি প্রদান করা হবে, একইসঙ্গে সেখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, সংস্কৃতি, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তমতের চর্চা হবে। আমরা একটা জ্ঞান ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি। জ্ঞানভিত্তিক, ন্যা ভিত্তিক বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র সুসংহত হয়না। যেখানে জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের চর্চা হয় না, যেখানে নিয়ম এবং নীতির ব্যত্যয় ঘটে, যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হয়না, যেখানে মুক্তমতের অবদমন করা হয়, সেখানে সমাজ এগোয়না।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর ড. রবিউল হোসেন ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য বেনু কুমার দে, সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. এম বদিউল আলম, চবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক মূখ্য সচিব ড. আবদুল করিম, সেক্রেটারি মাহাবুবুল আলম, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এস এম মনিরুল হাসান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহিবুল আজিজ।

ছবি

রাকসুতে শিবিরের প্যানেল থেকে বিজয়ী হলেন সনাতন ধর্মালম্বী সুজন

ছবি

রাকসু: কোন পদে কে জয়ী

ছবি

একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং, শৃঙ্খলাভঙ্গসহ বিভিন্ন দায়ে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ছবি

জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ হিন্দু শিক্ষার্থীদের

ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

স্টামফোর্ডে সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত

ছবি

স্টামফোর্ডে নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা অনুষ্ঠান: পিসিওএস ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ভোটার আসার আগেই শতাধিক ব্যালটে স্বাক্ষর, কারচুপির অভিযোগ

ছবি

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শেষ হলো রাকসুর ভোট, ফলাফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ৫ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ‘৬০ শতাংশ’

ছবি

রাকসুর ভোট: বাইরে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান

ছবি

রাকসু: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের

ছবি

রাকসুতে একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

রাকসু: ভোট দিলেন ছাত্রশিবিরের ভিপি-জিএস প্রার্থী, তারপর যা বললেন

ছবি

রাকসু: ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রদলের ভিপি-জিএস প্রার্থী

ছবি

রাকসু: আড়াই ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে একচেটিয়া জয় শিবিরের

ছবি

রাকসু: ভোট গ্রহণ শুরু

ছবি

রাকসু: ৩৫ বছর পর ভোট, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ

ছবি

চাকসু: উৎসবমুখর ভোট, অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি উত্তেজনা

ছবি

অনিয়মের অভিযোগ তুলেও ভোট বর্জন নয়: চবি ছাত্রদলের অবস্থান

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

ছবি

রাকসু ভোটে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই, ১৭ ঘন্টায় ফল: নির্বাচন কমিশন

ছবি

রাকসু: ভোটে আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা ‘করছেন না’ আরএমপি কমিশনার

ছবি

রাকসু: ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি

চাকসু: নানা অভিযোগ, ভোট বর্জন ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব’ শিক্ষার্থী সংগঠনের

চাকসু নির্বাচন: ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগত প্রবেশের’ অভিযোগ শিবির ও ছাত্রদলের

চাকসু নির্বাচন: ভোটের কালি ‘মুছে যাওয়ার’ অভিযোগ ছাত্রদলের তৌফিকের

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন, ‘মুক্ত ক্যাম্পাসের’ স্বপ্ন নিয়ে ভোট দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

ছবি

রাকসু: বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করলো ছাত্রদল, নিজেও নিলেন অব্যাহতি

ছবি

প্রতিবাদে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ব্লকেড শিক্ষার্থীদের

tab

প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, বেগম জিয়া নিজে এতটা পারতেন কি না, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

খালেদার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটি নজিরবিহীন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত খালাস দেননি। তিনি জামিনও পাননি। এরপরও তাকে কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে। তিনি যখন কারাগারে ছিলেন, সঙ্গে একজন গৃহপরিচারিকাও দেওয়া হয়েছিল। এর সবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার মহানুভবতার কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তা ব্যক্তি হিসেবে তিনি (মন্ত্রী) নিজেও দেখাতে পারতেন না, অন্য কেউও পারত না। খালেদা জিয়া নিজে পারতেন কি না সেই প্রশ্ন তোলা উচিৎ।

বেগম খালেদা জিয়া তো সেই ব্যক্তি, যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে তারই ছেলের পরিচালনায়। সেই গ্রেনেড হামলার পর তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে হাস্যরস করে বলেছিলেন, নেত্রী নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই ব্যক্তি, যার দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০-২৫ মিনিট দাঁড়িয়েছিল তার ছেলের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানোর জন্য। কিন্তু, তিনি দরজা খোলেননি। তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছিলেন। অশোভন আচরণ করে তিনি সেদিন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি সেই মানুষ, যিনি নিজের জন্মের তারিখটা বদলে দিয়ে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডকে উপহাস করার জন্য সেদিন ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটেন, বলেন হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে নানা আনন্দ-আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় কেক কাটা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ছাত্রজীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘চাকসু ভবনের সামনে থেকে ১৯৮৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। তখন চট্টগ্রাম শহরে খবর রটেছিল আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার শরীরে এখনো বহু নির্যাতনের দাগ আছে। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলার দাগ যেমন আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহু নির্যাতনের দাগ এখনও আমার শরীরে আছে। আবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের বিতর্ক টিমের ক্যাপ্টেন হিসেবে তখন জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। আমার জীবনকে এই পর্যায়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু অবদান আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান ও সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য নয়, সেখানে পাঠদান হবে, ডিগ্রি প্রদান করা হবে, একইসঙ্গে সেখানে জ্ঞানের চর্চা হবে, সংস্কৃতি, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তমতের চর্চা হবে। আমরা একটা জ্ঞান ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি। জ্ঞানভিত্তিক, ন্যা ভিত্তিক বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র সুসংহত হয়না। যেখানে জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের চর্চা হয় না, যেখানে নিয়ম এবং নীতির ব্যত্যয় ঘটে, যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হয়না, যেখানে মুক্তমতের অবদমন করা হয়, সেখানে সমাজ এগোয়না।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে ও প্রক্টর ড. রবিউল হোসেন ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য বেনু কুমার দে, সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ড. এম বদিউল আলম, চবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক মূখ্য সচিব ড. আবদুল করিম, সেক্রেটারি মাহাবুবুল আলম, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এস এম মনিরুল হাসান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহিবুল আজিজ।

back to top