alt

জবিতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৬ পদে নিয়োগ, তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা

মাহমুদ তানজীদ, জবি : বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৬টি পদে নিয়োগ দেয়া ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

এ বিষয়ে গত ১৯ এপ্রিল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘জবিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি, ৬ জনের বেতন-ভাতা বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটি গঠনের পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও এ ঘটনার কোন কূলকিনারা করতে পারেনি কমিটি। ফলে মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও বেতন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি কাটছে না সেই কর্মচারীদের। এ দিকে তদন্ত কমিটির দাবি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য তদন্ত কাজে কিছুটা বিলম্ব ঘটছে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড ও এমএলএসএস (পিয়ন) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন মনির হোসেন ও কাজী মহিন উল্লাহ। দু’টি পদই ২০তম গ্রেডের। কিন্তু দু’জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮তম গ্রেডের সিনিয়র কুক পদে। একইভাবে সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ জিহান ও এমএলএসএস জামাল হোসেন স্ব-পদে আবেদন করে নিয়োগ পান ১৯তম গ্রেডের সহকারী কুক পদে। এমএলএসএস আব্দুল আলিম নিয়োগ পেয়েছেন বাস হেল্পার পদে।

অপরদিকে, ২০২১ সালের ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় চুক্তিভিত্তিক ও দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের একটি তালিকা করা হয়। তালিকা প্রকাশের ৪ দিন পর ৮ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ১৬তম গ্রেডের সহকারী মেকানিক পদে ১ জন, ১৮তম গ্রেডের ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে ১ জন, ১৮তম গ্রেডের লিফট অপারেটর পদে ৪ জন, ১৯তম গ্রেডের মেকানিক হেল্পার পদে ১ জন ও ২০তম গ্রেডের অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সমমানের পদে ১৯ জন চাওয়া হয়।

তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকার পরও ১৮তম গ্রেডের সিনিয়র কুক, ১৯তম গ্রেডের সহকারী কুক, বাস হেল্পার ও কমনরুম গার্ল হিসেবে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রেড পরিবর্তন করে নিয়োগ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে বেতন বাবদ বাড়তি অর্থ খরচের ব্যাখ্যা চেয়ে উপাচার্যের নিকট নোট পাঠানো হলে এই ৬ জনের বেতন ভাতা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮৪ তম সিন্ডিকেটের সিরিয়াল ক্রমেও অসামঞ্জস্য দেখা যায়। বাস হেল্পার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আব্দুল আলিমের চাকরি ছিল এমএলএসএস হিসেবে। তার সিরিয়াল ক্রম ২৬। সুইপার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বীনা রানী দাসও এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তার সিরিয়াল ক্রম ২৯। কুক পদে নিয়োগ পাওয়া কাজী মহিন উল্লাহ এর এমএলএসএস সিরিয়াল ক্রম ৩৬, কমনরুম গার্ল হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রাবেয়া বেগমের এমএলএসএস ক্রম ৪৩। কুক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জামাল হোসেন ছিলেন সঙ্গীত বিভাগের এমএলএসএস কর্মচারী। তার ক্রম ৬১।

সহকারী কুক পদে নিয়োগ পাওয়া নিরাপত্তা প্রহরী মোহাম্মদ জিহান নিরাপত্তা প্রহরী ক্রমে ৭, বাজারকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. ইছহাক শেখ নিরাপত্তা প্রহরী ক্রম ৮ ও অপর সহকারী কুক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. মনির হোসেনের নিরাপত্তা প্রহরী পদে ক্রমিক ছিল ৯।

স্বস্ব পদে তালিকা ব্যত্যয় ঘটিয়ে অন্য পদ থেকে পছন্দের ভিত্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। বর্তমান বেতনভাতা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ভেঙ্গে পড়েছেন মানসিকভাবে। অতি দ্রুত বিষয়টির সুরাহা চান তারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘আমরা আমাদের স্ব-পদেই আবেদন করি। এখন আমাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রেড ও পদ কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে সেটা জানি না। প্রশাসন আমাদের যেভাবে নিয়োগ দিয়েছে আমরা সেটাই পেয়েছি। এখানে আমাদের তো কোন দোষ নেই। আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে কয়েক মাস ধরে। না খেয়ে মরার মতো অবস্থা আমাদের।’

এ বিষয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি তদন্ত কমিটির আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের কাজ আমরা একটি পর্যায় পর্যন্ত এগিয়ে রেখেছি। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাস্ততা থাকায় দেরি হচ্ছে আপাতত। তবে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব সতর্ক। ভর্তি পরীক্ষা শেষেই তদন্ত কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করি।’

কোন পক্ষ তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ এ বিষয়ে কিছু বলেনি। আমরা পরিপূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছি। সাধারণত কেউ দোষ করেও অস্বীকার করে৷ সুতরাং আমরা স্বাধীনভাবে তদন্ত করে এর রিপোর্ট জমা দিব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই কর্মচারীরা বেতন পাবেন কি পাবেন না এটি কর্তৃপক্ষই জানেন। এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

ছবি

রাকসু: উৎসবের হাওয়া,অভিনব কায়দায় নির্বাচনী প্রচারণা

ছবি

রাকসু: ভোটের আগে উপাচার্যের ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক

ছবি

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শিবির ও ছাত্রদলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি

ছবি

ফের পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবি, অন্যথায় ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মসূচি

ছবি

‘কাকতাড়ুয়া দহন’ কর্মসূচি দিয়ে সড়ক ছাড়লেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা

ছবি

জকসু: ২৭ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন

ছবি

রাকসু: হাতে ভোট গোণা ও ৫ দাবি ছাত্রদলের, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটের সিদ্ধান্ত

ছবি

সাজেকে চাঁন্দের গাড়ি খাদে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

ছবি

জগন্নাথ: নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে ৪ জনের অনশনে ৩ জন অসুস্থ

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন নেওয়ার সময় বাড়ল এক দিন

ছবি

গাজীপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রেলপথ অবরোধ, বিক্ষোভ

ছবি

রাকসু: ১৭ কেন্দ্রে ভোট, নিরাপত্তায় থাকবে দুই হাজার পুলিশ

ছবি

জকসুসহ ৩ দাবিতে বাগছাস ও ছাত্র অধিকারের অনশন

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: ভোট হাতে গণনার আবেদন উমামা ফাতেমার

ছবি

এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি, প্রো-ভিসির আশ্বাস

ছবি

রাকসু: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, ভিপি পদে ১৮

ছবি

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ১৬ অভিযোগ: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ছবি

রাকসু: তিন সাবেক সমন্বয়কের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল, শিবিরের ‘ছায়ার’ গুঞ্জন

ছবি

জাকসু: ভোট গণনায় অসঙ্গতি, বৈধ ভোটের চেয়ে বেশী ভোটের হিসাব, বিজয়ী ঘোষণা করে পরে বাতিল

ছবি

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারণায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

ছবি

রাকসু: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন হল সংসদে নির্বাচিত

ছবি

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ঘোষিত নয়টি প্যানেল

ছবি

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, প্রথম দিনেই সংগ্রহ ২৮টি

ছবি

রাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের প্যানেল, তবে নেই ভিপি, জিএস, এজিএস

ছবি

ডাকসুর প্রথম সভায় সিনেটের জন্য ৫ প্রতিনিধি মনোনীত

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ছবি

রাকসুর নীতিমালা সংশোধন, লটারিতে নির্ধারিত হবে ব্যালট নম্বর

জাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি: নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল

ছবি

রাকসু: আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন’ করে চলছে প্রচার-প্রচারণা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, তবে ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি, শিবিরের প্রার্থী জিএসে বিজয়ী

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর: হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল, বিজয়ীদের তালিকা

tab

জবিতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৬ পদে নিয়োগ, তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা

মাহমুদ তানজীদ, জবি

বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৬টি পদে নিয়োগ দেয়া ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

এ বিষয়ে গত ১৯ এপ্রিল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘জবিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি, ৬ জনের বেতন-ভাতা বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটি গঠনের পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও এ ঘটনার কোন কূলকিনারা করতে পারেনি কমিটি। ফলে মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও বেতন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি কাটছে না সেই কর্মচারীদের। এ দিকে তদন্ত কমিটির দাবি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য তদন্ত কাজে কিছুটা বিলম্ব ঘটছে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড ও এমএলএসএস (পিয়ন) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন মনির হোসেন ও কাজী মহিন উল্লাহ। দু’টি পদই ২০তম গ্রেডের। কিন্তু দু’জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮তম গ্রেডের সিনিয়র কুক পদে। একইভাবে সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ জিহান ও এমএলএসএস জামাল হোসেন স্ব-পদে আবেদন করে নিয়োগ পান ১৯তম গ্রেডের সহকারী কুক পদে। এমএলএসএস আব্দুল আলিম নিয়োগ পেয়েছেন বাস হেল্পার পদে।

অপরদিকে, ২০২১ সালের ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় চুক্তিভিত্তিক ও দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের একটি তালিকা করা হয়। তালিকা প্রকাশের ৪ দিন পর ৮ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ১৬তম গ্রেডের সহকারী মেকানিক পদে ১ জন, ১৮তম গ্রেডের ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে ১ জন, ১৮তম গ্রেডের লিফট অপারেটর পদে ৪ জন, ১৯তম গ্রেডের মেকানিক হেল্পার পদে ১ জন ও ২০তম গ্রেডের অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও সমমানের পদে ১৯ জন চাওয়া হয়।

তবে সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকার পরও ১৮তম গ্রেডের সিনিয়র কুক, ১৯তম গ্রেডের সহকারী কুক, বাস হেল্পার ও কমনরুম গার্ল হিসেবে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রেড পরিবর্তন করে নিয়োগ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে বেতন বাবদ বাড়তি অর্থ খরচের ব্যাখ্যা চেয়ে উপাচার্যের নিকট নোট পাঠানো হলে এই ৬ জনের বেতন ভাতা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮৪ তম সিন্ডিকেটের সিরিয়াল ক্রমেও অসামঞ্জস্য দেখা যায়। বাস হেল্পার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আব্দুল আলিমের চাকরি ছিল এমএলএসএস হিসেবে। তার সিরিয়াল ক্রম ২৬। সুইপার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বীনা রানী দাসও এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তার সিরিয়াল ক্রম ২৯। কুক পদে নিয়োগ পাওয়া কাজী মহিন উল্লাহ এর এমএলএসএস সিরিয়াল ক্রম ৩৬, কমনরুম গার্ল হিসেবে নিয়োগ পাওয়া রাবেয়া বেগমের এমএলএসএস ক্রম ৪৩। কুক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জামাল হোসেন ছিলেন সঙ্গীত বিভাগের এমএলএসএস কর্মচারী। তার ক্রম ৬১।

সহকারী কুক পদে নিয়োগ পাওয়া নিরাপত্তা প্রহরী মোহাম্মদ জিহান নিরাপত্তা প্রহরী ক্রমে ৭, বাজারকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. ইছহাক শেখ নিরাপত্তা প্রহরী ক্রম ৮ ও অপর সহকারী কুক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. মনির হোসেনের নিরাপত্তা প্রহরী পদে ক্রমিক ছিল ৯।

স্বস্ব পদে তালিকা ব্যত্যয় ঘটিয়ে অন্য পদ থেকে পছন্দের ভিত্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। বর্তমান বেতনভাতা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। ভেঙ্গে পড়েছেন মানসিকভাবে। অতি দ্রুত বিষয়টির সুরাহা চান তারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ‘আমরা আমাদের স্ব-পদেই আবেদন করি। এখন আমাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রেড ও পদ কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে সেটা জানি না। প্রশাসন আমাদের যেভাবে নিয়োগ দিয়েছে আমরা সেটাই পেয়েছি। এখানে আমাদের তো কোন দোষ নেই। আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে কয়েক মাস ধরে। না খেয়ে মরার মতো অবস্থা আমাদের।’

এ বিষয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি তদন্ত কমিটির আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের কাজ আমরা একটি পর্যায় পর্যন্ত এগিয়ে রেখেছি। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাস্ততা থাকায় দেরি হচ্ছে আপাতত। তবে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব সতর্ক। ভর্তি পরীক্ষা শেষেই তদন্ত কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করি।’

কোন পক্ষ তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ এ বিষয়ে কিছু বলেনি। আমরা পরিপূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছি। সাধারণত কেউ দোষ করেও অস্বীকার করে৷ সুতরাং আমরা স্বাধীনভাবে তদন্ত করে এর রিপোর্ট জমা দিব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি সুরাহা হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই কর্মচারীরা বেতন পাবেন কি পাবেন না এটি কর্তৃপক্ষই জানেন। এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

back to top