alt

ঢাবিতে নবীন শিক্ষার্থীকে হলে তোলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে নবীণ শিক্ষার্থীকে নিজেদের গ্রুপে উঠানো নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

শিশির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। অন্যদিকে হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী ওই হলে উঠতে আসলে সাধারণ সম্পাদক হোসেনের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তার সাথে কথা বলে রাখলেও সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে তাদের গ্রুপে উঠায়।

এক পর্যায়ে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোরজবরদস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতি এক পর্যায়ে সিনিয়রদের মাঝেও ছড়িয়ে যায়।

এর মাঝে সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্সে পড়ুয়া এক ছাত্রলীগ কর্মীর শার্টের কলার ধরলে সেক্রেটারি গ্রুপের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং তখন পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। মারামারির সময় নতুনদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে মুহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী আইনুল ইসলাম মাহবুব এক শিক্ষার্থীকে কয়েকটি থাপ্পড় মেরে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাহবুবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশিরকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমার জানামতে হলে এমন কোনো ঘটেনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অপরাধের প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এই বিষয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে জানান।

ছবি

পুলিশের ধারণা ছাত্রীর প্রেমিকের সন্দেহে জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ খুন

ছবি

জবি শিক্ষার্থী খুন: একদিনের শোক ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত

ছবি

ছুরিকাঘাতে জবি ছাত্রদল নেতার খুন, আটক ছাত্রী

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

রাকসুতেও শিবিরের জয়-জয়কার জাহিদুল ইসলাম

ছবি

রাকসুতে শিবিরের প্যানেল থেকে বিজয়ী হলেন সনাতন ধর্মালম্বী সুজন

ছবি

রাকসু: কোন পদে কে জয়ী

ছবি

একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং, শৃঙ্খলাভঙ্গসহ বিভিন্ন দায়ে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ছবি

জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ হিন্দু শিক্ষার্থীদের

ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

স্টামফোর্ডে সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত

ছবি

স্টামফোর্ডে নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা অনুষ্ঠান: পিসিওএস ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ভোটার আসার আগেই শতাধিক ব্যালটে স্বাক্ষর, কারচুপির অভিযোগ

ছবি

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শেষ হলো রাকসুর ভোট, ফলাফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ৫ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ‘৬০ শতাংশ’

ছবি

রাকসুর ভোট: বাইরে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান

ছবি

রাকসু: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের

ছবি

রাকসুতে একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

রাকসু: ভোট দিলেন ছাত্রশিবিরের ভিপি-জিএস প্রার্থী, তারপর যা বললেন

ছবি

রাকসু: ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রদলের ভিপি-জিএস প্রার্থী

ছবি

রাকসু: আড়াই ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে একচেটিয়া জয় শিবিরের

ছবি

রাকসু: ভোট গ্রহণ শুরু

ছবি

রাকসু: ৩৫ বছর পর ভোট, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ

ছবি

চাকসু: উৎসবমুখর ভোট, অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি উত্তেজনা

ছবি

অনিয়মের অভিযোগ তুলেও ভোট বর্জন নয়: চবি ছাত্রদলের অবস্থান

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

ছবি

রাকসু ভোটে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই, ১৭ ঘন্টায় ফল: নির্বাচন কমিশন

ছবি

রাকসু: ভোটে আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা ‘করছেন না’ আরএমপি কমিশনার

ছবি

রাকসু: ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি

চাকসু: নানা অভিযোগ, ভোট বর্জন ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব’ শিক্ষার্থী সংগঠনের

tab

ঢাবিতে নবীন শিক্ষার্থীকে হলে তোলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে নবীণ শিক্ষার্থীকে নিজেদের গ্রুপে উঠানো নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

শিশির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। অন্যদিকে হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী ওই হলে উঠতে আসলে সাধারণ সম্পাদক হোসেনের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তার সাথে কথা বলে রাখলেও সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে তাদের গ্রুপে উঠায়।

এক পর্যায়ে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোরজবরদস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতি এক পর্যায়ে সিনিয়রদের মাঝেও ছড়িয়ে যায়।

এর মাঝে সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্সে পড়ুয়া এক ছাত্রলীগ কর্মীর শার্টের কলার ধরলে সেক্রেটারি গ্রুপের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং তখন পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে যায়। মারামারির সময় নতুনদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে মুহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী আইনুল ইসলাম মাহবুব এক শিক্ষার্থীকে কয়েকটি থাপ্পড় মেরে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাহবুবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশিরকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমার জানামতে হলে এমন কোনো ঘটেনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অপরাধের প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এই বিষয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে জানান।

back to top