ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামি লীগ-ছাত্রলীগের প্রায় পঞ্চাশ জন নেতাকর্মী নিচে পড়ে যান। এ ঘটনায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন
শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ছিল শোভাযাত্রার আয়োজন। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের ছিলেন উদ্বোধক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা উদ্বোধনের আগে মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন ওবায়দুল কাদের। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙে যায় মঞ্চ। ওই সময় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন ওবায়দুল কাদেরসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। ওই সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা, পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।
তবে কিছুক্ষণ পরেই ওবায়দুল কাদের আকাশে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এ আমরা প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলাম, অনেককে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আজ তো বক্তব্য দেওয়ার সময় আচমকা মঞ্চ ভেঙে পড়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। মঞ্চে অনেক নেতা ছিলেন। আমি বলবো, আমাদের আরও কর্মীর দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট কর্মী দরকার। এতো নেতা দরকার নেই। যেকোন মঞ্চে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চের লোকের সংখ্যা বেশি হয়। এতো নেতা কেন?
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ প্রায় আট নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন। আহতরা হচ্ছেন— ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য), ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বাচিপ-সভাপতি), শেখ আনিসুজ্জামান রানা (ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক), মো. জসিম উদ্দিন (ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সদস্য), মো. জাবেদ (বিএমএ ইসি মেম্বার), শারমিন সুলতানা লিলি (যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক), সাবরিনা চৌধুরী, বরিকুল ইসলাম বাধন (বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি)।
এদিকে ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক। মঞ্চ ভাঙ্গার পরপরই ছবি ও ভিডিও করার সময় এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
এস এ টিভির সাংবাদিক শাহ জামাল খান সৌরভকে লাঞ্চিত করা হয়। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে তিনি আহত হন। ভুক্তভোগী দৈনিক কালবেলার ঢাবি প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন বলেন, মঞ্চ বানালেন দুর্বল। আহত অনেকে। ভাঙ্গার সাথে সাথে সাংবাদিকদের অসম্মান। এটাই কি স্মার্ট ছাত্রলীগ?
এর আগে বেলা সোয়া তিনটায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়৷ এ সময় মঞ্চে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এরপর বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন৷ সাদ্দামের বক্তব্যের পর উদ্বোধকের বক্তব্য নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের৷ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চলার মধ্যেই ৪টা ১০ মিনিটে ভেঙে পড়ে মঞ্চ।
শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৩
ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামি লীগ-ছাত্রলীগের প্রায় পঞ্চাশ জন নেতাকর্মী নিচে পড়ে যান। এ ঘটনায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন
শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ছিল শোভাযাত্রার আয়োজন। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের ছিলেন উদ্বোধক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা উদ্বোধনের আগে মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন ওবায়দুল কাদের। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙে যায় মঞ্চ। ওই সময় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন ওবায়দুল কাদেরসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। ওই সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা, পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।
তবে কিছুক্ষণ পরেই ওবায়দুল কাদের আকাশে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এ আমরা প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলাম, অনেককে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আজ তো বক্তব্য দেওয়ার সময় আচমকা মঞ্চ ভেঙে পড়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। মঞ্চে অনেক নেতা ছিলেন। আমি বলবো, আমাদের আরও কর্মীর দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট কর্মী দরকার। এতো নেতা দরকার নেই। যেকোন মঞ্চে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চের লোকের সংখ্যা বেশি হয়। এতো নেতা কেন?
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ প্রায় আট নেতা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন। আহতরা হচ্ছেন— ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য), ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বাচিপ-সভাপতি), শেখ আনিসুজ্জামান রানা (ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক), মো. জসিম উদ্দিন (ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সদস্য), মো. জাবেদ (বিএমএ ইসি মেম্বার), শারমিন সুলতানা লিলি (যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক), সাবরিনা চৌধুরী, বরিকুল ইসলাম বাধন (বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি)।
এদিকে ঘটনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক। মঞ্চ ভাঙ্গার পরপরই ছবি ও ভিডিও করার সময় এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
এস এ টিভির সাংবাদিক শাহ জামাল খান সৌরভকে লাঞ্চিত করা হয়। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে তিনি আহত হন। ভুক্তভোগী দৈনিক কালবেলার ঢাবি প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন বলেন, মঞ্চ বানালেন দুর্বল। আহত অনেকে। ভাঙ্গার সাথে সাথে সাংবাদিকদের অসম্মান। এটাই কি স্মার্ট ছাত্রলীগ?
এর আগে বেলা সোয়া তিনটায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়৷ এ সময় মঞ্চে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এরপর বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন৷ সাদ্দামের বক্তব্যের পর উদ্বোধকের বক্তব্য নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের৷ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চলার মধ্যেই ৪টা ১০ মিনিটে ভেঙে পড়ে মঞ্চ।