alt

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড দেখাল ছাত্র অধিকার পরিষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : রোববার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণে ব্যবহৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ছাত্র নির্যাতন বন্ধেরও আহবান জানান।

রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে এ লাল কার্ড প্রদর্শন করা হয়।

এসময় তারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবি তিনটি হল- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতারকৃত বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর এক সংবাদকে কেন্দ্র করে সরকার যা শুরু করেছে সেটা অত্যন্ত অন্যায় ও অমানবিক। এই নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বিরোধী দলের মতকে চেপে ধরা হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এই আইনের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে জেলে ভরছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, এখন সবাই ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কি-না কি বলছি সেটার জন্য জেলে ঢুকতে হবে। এই আইনের ফলে অসংখ্য মানুষকে বিনা দোষে, বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। এই আইনের মাত্র একটা সুফল আছে। আর সেটা হল সরকারদলীয়দের বিপক্ষে কেউ কিছু বলতে পারছে না।

আখতার হোসেন আরও বলেন, আমরা দেখছি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে ছাত্র নির্যাতন বিরোধী আইন তৈরি করে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এক শ্রেণীর প্রতিবাদী মানুষ, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের রাতের আঁধারে তুলে আনা হচ্ছে। ফলে কেউ সরকারের খারাপ দিকগুলো জনসম্মুখে বলতে সাহস করছে না।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন করতো সেভাবে এই সরকারের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করছে। বর্তমানে দেশের বিচার বিক্রি হয়ে গেছে, বিবেক বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাবির শিক্ষকরা এমনকি উপাচার্যও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে। অথচ তার শিক্ষার্থীরাই এক বেলা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো এমন একটি আইন যেটা মানুষের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার ও স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করছে। ভিসি যেখানে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে মাঠে নামেন সেসময় তারই একজন শিক্ষার্থী বলছেন সাহরি খাওয়ার সময় কান্না চলে আসে। টাকার অভাবে ভালো খাবার খেতে পারেন না। খাবারে ভর্তুকি দিতে বললেও প্রশাসনেরর কোনও খবর থাকে না।

ছবি

পুলিশের ধারণা ছাত্রীর প্রেমিকের সন্দেহে জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ খুন

ছবি

জবি শিক্ষার্থী খুন: একদিনের শোক ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত

ছবি

ছুরিকাঘাতে জবি ছাত্রদল নেতার খুন, আটক ছাত্রী

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

রাকসুতেও শিবিরের জয়-জয়কার জাহিদুল ইসলাম

ছবি

রাকসুতে শিবিরের প্যানেল থেকে বিজয়ী হলেন সনাতন ধর্মালম্বী সুজন

ছবি

রাকসু: কোন পদে কে জয়ী

ছবি

একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং, শৃঙ্খলাভঙ্গসহ বিভিন্ন দায়ে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ছবি

জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ হিন্দু শিক্ষার্থীদের

ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

স্টামফোর্ডে সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত

ছবি

স্টামফোর্ডে নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা অনুষ্ঠান: পিসিওএস ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ভোটার আসার আগেই শতাধিক ব্যালটে স্বাক্ষর, কারচুপির অভিযোগ

ছবি

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শেষ হলো রাকসুর ভোট, ফলাফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ৫ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ‘৬০ শতাংশ’

ছবি

রাকসুর ভোট: বাইরে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান

ছবি

রাকসু: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের

ছবি

রাকসুতে একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

রাকসু: ভোট দিলেন ছাত্রশিবিরের ভিপি-জিএস প্রার্থী, তারপর যা বললেন

ছবি

রাকসু: ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রদলের ভিপি-জিএস প্রার্থী

ছবি

রাকসু: আড়াই ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে একচেটিয়া জয় শিবিরের

ছবি

রাকসু: ভোট গ্রহণ শুরু

ছবি

রাকসু: ৩৫ বছর পর ভোট, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ

ছবি

চাকসু: উৎসবমুখর ভোট, অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি উত্তেজনা

ছবি

অনিয়মের অভিযোগ তুলেও ভোট বর্জন নয়: চবি ছাত্রদলের অবস্থান

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

ছবি

রাকসু ভোটে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই, ১৭ ঘন্টায় ফল: নির্বাচন কমিশন

ছবি

রাকসু: ভোটে আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা ‘করছেন না’ আরএমপি কমিশনার

ছবি

রাকসু: ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি

চাকসু: নানা অভিযোগ, ভোট বর্জন ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব’ শিক্ষার্থী সংগঠনের

tab

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড দেখাল ছাত্র অধিকার পরিষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রোববার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণে ব্যবহৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ছাত্র নির্যাতন বন্ধেরও আহবান জানান।

রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে এ লাল কার্ড প্রদর্শন করা হয়।

এসময় তারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবি তিনটি হল- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতারকৃত বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর এক সংবাদকে কেন্দ্র করে সরকার যা শুরু করেছে সেটা অত্যন্ত অন্যায় ও অমানবিক। এই নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বিরোধী দলের মতকে চেপে ধরা হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এই আইনের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে জেলে ভরছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, এখন সবাই ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কি-না কি বলছি সেটার জন্য জেলে ঢুকতে হবে। এই আইনের ফলে অসংখ্য মানুষকে বিনা দোষে, বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। এই আইনের মাত্র একটা সুফল আছে। আর সেটা হল সরকারদলীয়দের বিপক্ষে কেউ কিছু বলতে পারছে না।

আখতার হোসেন আরও বলেন, আমরা দেখছি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি অবিলম্বে ছাত্র নির্যাতন বিরোধী আইন তৈরি করে ছাত্র নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এক শ্রেণীর প্রতিবাদী মানুষ, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের রাতের আঁধারে তুলে আনা হচ্ছে। ফলে কেউ সরকারের খারাপ দিকগুলো জনসম্মুখে বলতে সাহস করছে না।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন করতো সেভাবে এই সরকারের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করছে। বর্তমানে দেশের বিচার বিক্রি হয়ে গেছে, বিবেক বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাবির শিক্ষকরা এমনকি উপাচার্যও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে। অথচ তার শিক্ষার্থীরাই এক বেলা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো এমন একটি আইন যেটা মানুষের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার ও স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করছে। ভিসি যেখানে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে মাঠে নামেন সেসময় তারই একজন শিক্ষার্থী বলছেন সাহরি খাওয়ার সময় কান্না চলে আসে। টাকার অভাবে ভালো খাবার খেতে পারেন না। খাবারে ভর্তুকি দিতে বললেও প্রশাসনেরর কোনও খবর থাকে না।

back to top