জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে।
তিনি বলেন,কারণ বিভিন্ন সময় মাদক,ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা সেখানে ঘটেছে।
আমরা আগামী প্রজন্মকে জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর স্বপ্ন দেখি। এমনকি যারা মাদক কারবার, চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসা করেন, তারা খারাপ হলেও তাদের সন্তানকেও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়া করুক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।
কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই অ্যালার্মিং। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধ কাজ ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সহযোগিতা চায়, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলব না। কারণ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমি মনে করি শুধু এখন নয়, সবসময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম। মামুনের মতো লোকজন শিক্ষার্থীদের নষ্ট করছে। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায়দায়িত্ব আমাদের সব স্টেকহোল্ডারকে নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকে এর দায় নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে মামুনসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পূর্বপরিচিত এই মামুনের কথাতেই ওই রাতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী। তখন ওই নারীকে যে দুজন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, তাদের একজন এই মামুন।
ভুক্তভোগী নারী পরিবার নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় থাকতেন মামুন। গত শনিবার রাতে কৌশলে তিনি প্রথমে ওই নারীর স্বামীকে এবং পরে ভুক্তভোগী নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে ডেকে নেন। এরপর স্বামীকে বেঁধে নির্যাতন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মো. মুরাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই নারীর স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা এবং মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় জনের মধ্যে চার জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে।
তিনি বলেন,কারণ বিভিন্ন সময় মাদক,ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা সেখানে ঘটেছে।
আমরা আগামী প্রজন্মকে জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর স্বপ্ন দেখি। এমনকি যারা মাদক কারবার, চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসা করেন, তারা খারাপ হলেও তাদের সন্তানকেও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়া করুক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।
কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই অ্যালার্মিং। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধ কাজ ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সহযোগিতা চায়, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলব না। কারণ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমি মনে করি শুধু এখন নয়, সবসময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম। মামুনের মতো লোকজন শিক্ষার্থীদের নষ্ট করছে। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায়দায়িত্ব আমাদের সব স্টেকহোল্ডারকে নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকে এর দায় নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে মামুনসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পূর্বপরিচিত এই মামুনের কথাতেই ওই রাতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী। তখন ওই নারীকে যে দুজন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, তাদের একজন এই মামুন।
ভুক্তভোগী নারী পরিবার নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় থাকতেন মামুন। গত শনিবার রাতে কৌশলে তিনি প্রথমে ওই নারীর স্বামীকে এবং পরে ভুক্তভোগী নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে ডেকে নেন। এরপর স্বামীকে বেঁধে নির্যাতন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মো. মুরাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই নারীর স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা এবং মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছয় জনের মধ্যে চার জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
