পশু কোরবানি করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে আহত হয়ে দেড়শ জনের বেশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই কোরবানীর পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এর পরই আছে গরুর লাথি-গুঁতোয় আহত হয়ে হাসপাতালে আসাদের সংখ্যা।
চিকিৎসা নিতে আসা মো. মিরাজ জানান (২৭) আজ সকাল থেকে দুটি গরু কাটার কাজের সঙ্গে ছিলেন তিনি। আগামীকাল কোরবানি করা হবে আরেকটি গরু। ওই গরুটি আজ সকালে তার মাথায় গুঁতো দিয়েছে। এতে তার মাথার পুরো একপাশের চামড়া থেঁতলে গেছে। সেখানে সেলাই পড়েছে ২১টি।
মাংস কাটতে গিয়ে চাপাতির আঘাতে আহত চানখারপুল থেকে আসা আনোয়ার হোসেন (৪২) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে গেছে। পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক। কোরবনীর ঈদে এক দিনের জন্য কসাই হিসেবে কাজ করেন। তার মতোই আরেকজন রিকশাচালক তার পেছনে মাংস কাটার কাজ করছিলেন। তার হাত থেকে ছুটে আসা চাপাতির আঘাতে আঙুল কেটে গেছে।
এছাড়া গরুর লাথি খেয়ে হাসপাতালে আসা মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়ার শহীদ বিশ্বাস (৫৫) জানান, এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে তার হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা মাংস কাটার কথা বলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের আহত হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
পশু কোরবানি করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে আহত হয়ে দেড়শ জনের বেশি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই কোরবানীর পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এর পরই আছে গরুর লাথি-গুঁতোয় আহত হয়ে হাসপাতালে আসাদের সংখ্যা।
চিকিৎসা নিতে আসা মো. মিরাজ জানান (২৭) আজ সকাল থেকে দুটি গরু কাটার কাজের সঙ্গে ছিলেন তিনি। আগামীকাল কোরবানি করা হবে আরেকটি গরু। ওই গরুটি আজ সকালে তার মাথায় গুঁতো দিয়েছে। এতে তার মাথার পুরো একপাশের চামড়া থেঁতলে গেছে। সেখানে সেলাই পড়েছে ২১টি।
মাংস কাটতে গিয়ে চাপাতির আঘাতে আহত চানখারপুল থেকে আসা আনোয়ার হোসেন (৪২) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে গেছে। পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক। কোরবনীর ঈদে এক দিনের জন্য কসাই হিসেবে কাজ করেন। তার মতোই আরেকজন রিকশাচালক তার পেছনে মাংস কাটার কাজ করছিলেন। তার হাত থেকে ছুটে আসা চাপাতির আঘাতে আঙুল কেটে গেছে।
এছাড়া গরুর লাথি খেয়ে হাসপাতালে আসা মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়ার শহীদ বিশ্বাস (৫৫) জানান, এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে তার হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা মাংস কাটার কথা বলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের আহত হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।