গণপরিবহণ সংকট রাজধানীতে

রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে গড়ে ওঠা এই প্ল্যাটফর্ম। একই সঙ্গে জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

কোনো ধরনের ট্যাক্স প্রদান না করাসহ অসহযোগ আন্দোলন পালন করতে ছাত্র-জনতাকে একদফা নির্দেশনা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ থেকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

আন্দোলন কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে যানবাহন কম। সড়কে গণপরিবহণ দেখা মেলেনি। যাও একটি-দুটি দেখা গেছে, তাতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সড়কে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও তেমন ছিল না। যেগুলো ছিল, তারা ইচ্ছামতো ভাড়া দাগিয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা আমাদের প্রতিবেদকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুনবাজারগামী রামপুরা থেকে আসা আবদুল মালেক একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে সড়কে ছিলাম। তেমন গণপরিবহণ নেই। রিকশা ও অটোরিকশাচালকরা বেশি ভাড়া যাচ্ছিল।

প্রায় ৪৫ মিনিট পর একটি গণপরিবহণের দেখা মেলে। সেটিও ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। খুব কষ্ট করে সেটাতে উঠে পড়ি।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা রাকিব হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ভেঙে ভেঙে আমাকে আসতে হয়েছে। স্টাফকোয়ার্টারে এসে বেশ বেকায়দায় পড়ে যাই। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি বাস পাই। আর তা দিয়ে রাজধানীতে ঢুকি।

সকাল ৯টায় অফিস ধরতে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়া যাত্রী শান্ত মাহমুদ বলেন, খিলখেত মোড়ে এসে দেখি কোনো বাস নেই। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করেও রাস্তায় কোনো বাসের অস্তিত্ব খোঁজে পেলাম না। দেখলাম আমার মতো অসংখ্য অফিসগামী যাত্রীরা বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। দূরের যাত্রিদের মধ্যে কেউ কেউ বাসের আশা ছেড়ে দিয়ে সিএনজি বা মোটর সাইকেলে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। বাস পাব না ধরে নিয়ে আমিও শেষ পর্যন্ত হেঁটেই অফিসে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। যেহেতু অফিস খুব বেশি দূরে নয়, তাই আধা ঘণ্টা হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছি।

‘নগর-মহানগর’ : আরও খবর

সম্প্রতি