নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরসহ সকল পরিচালকের অপসারণের দাবিতে রাজধানীর মহাখালী এলাকা অবরোধ করেছেন সর্বস্তরের নার্স কর্মকর্তা ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার মহাখালীতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে বেলা দেড়টার দিকে মহাখালী থেকে তেজগাঁওগামী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা যায়।
দুপুরে মহাখালী রেলক্রসিংয়ের সামনের সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
সাব্বির মাহমুদ তিহান নামে এক নার্স নেতা বলেন, নার্সদের বদলি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গেলে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের সঙ্গে অপেশাদারিত্ব সুলভ আচরণ করেন। এসময় আমাদের একজন নার্স বলেন, ‘আগে বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে পারতেন না, কারণ আগে তো কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল তাই কথা বলতে পারিনি, এখন-তো স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি।’ তখন মহাপরিচালক ধমক দিয়ে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, ‘কিসের স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন? কিসের আবার স্বাধীনতা?’
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে নার্সদের উদ্দেশে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা একটা ছোট চাকরি করেন। এখন আপনারা দ্বিতীয় শ্রেণির অফিসার হয়েছেন; শেখ হাসিনা যে আপনাদের দ্বিতীয় শ্রেণি করছে, এইটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।’ আমরা মনে করি, তার এই বক্তব্যে নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে যা নার্সিং সমাজকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে।
মাহফুজ আহমেদ নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে তারা সোমবার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সে সময় মহাপরিচালক তাদের সঙ্গে ‘বাজে আচরণ’ করেন। তিনি বলেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া সরকারের ‘ভুল’ ছিল। তিনি আমাদের নিয়ে, আমাদের পেশা নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেছেন। এজন্য আজ আমরা তার কাছে এর ব্যাখ্যা চাইতে এসেছিলাম। এসে দেখি তিনি অফিসে নাই। তার পদত্যাগের দাবিতে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বিকেল ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মহাখালীতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির সামনের সড়কে শিক্ষার্থীরা নামার চেষ্টা করেছিল। তবে সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা আর সড়কে নামেননি। এখন তাঁরা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর আজ অফিসে আসেননি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইল ফোন করলেও ধরেননি।
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরসহ সকল পরিচালকের অপসারণের দাবিতে রাজধানীর মহাখালী এলাকা অবরোধ করেছেন সর্বস্তরের নার্স কর্মকর্তা ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার মহাখালীতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে বেলা দেড়টার দিকে মহাখালী থেকে তেজগাঁওগামী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা যায়।
দুপুরে মহাখালী রেলক্রসিংয়ের সামনের সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
সাব্বির মাহমুদ তিহান নামে এক নার্স নেতা বলেন, নার্সদের বদলি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গেলে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের সঙ্গে অপেশাদারিত্ব সুলভ আচরণ করেন। এসময় আমাদের একজন নার্স বলেন, ‘আগে বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে পারতেন না, কারণ আগে তো কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল তাই কথা বলতে পারিনি, এখন-তো স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি।’ তখন মহাপরিচালক ধমক দিয়ে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, ‘কিসের স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন? কিসের আবার স্বাধীনতা?’
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে নার্সদের উদ্দেশে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা একটা ছোট চাকরি করেন। এখন আপনারা দ্বিতীয় শ্রেণির অফিসার হয়েছেন; শেখ হাসিনা যে আপনাদের দ্বিতীয় শ্রেণি করছে, এইটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।’ আমরা মনে করি, তার এই বক্তব্যে নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে যা নার্সিং সমাজকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে।
মাহফুজ আহমেদ নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে তারা সোমবার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সে সময় মহাপরিচালক তাদের সঙ্গে ‘বাজে আচরণ’ করেন। তিনি বলেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া সরকারের ‘ভুল’ ছিল। তিনি আমাদের নিয়ে, আমাদের পেশা নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেছেন। এজন্য আজ আমরা তার কাছে এর ব্যাখ্যা চাইতে এসেছিলাম। এসে দেখি তিনি অফিসে নাই। তার পদত্যাগের দাবিতে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বিকেল ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মহাখালীতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির সামনের সড়কে শিক্ষার্থীরা নামার চেষ্টা করেছিল। তবে সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা আর সড়কে নামেননি। এখন তাঁরা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর আজ অফিসে আসেননি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইল ফোন করলেও ধরেননি।