ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের একটি দল এক বাসায় ঢুকে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এ ঘটনা ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩টার দিকে, মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা মোড়ের কাছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, ডাকাত দলটি বাসার দারোয়ানকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা লোক হিসেবে মিথ্যা প্রমাণ দেখিয়ে গেট খুলতে বাধ্য করে এবং আবু বকর নামের বাসার মালিকের বাসায় প্রবেশ করে।
পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে ঢুকে লুটপাট
ওসি ইফতেখার জানিয়েছেন, মুখে মাস্ক পরে এবং সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও হেলমেট পরে লোকজন ঢুকে এমনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল যে বাসার দারোয়ান সন্দেহ না করে তাদের জন্য গেট খুলে দেয়। তাদের সঙ্গে র্যাবের জ্যাকেট পরা এবং সাদা পোশাকের আরও কিছু সদস্য ছিল।
আবু বকর, যিনি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, বলেন, “তারা এসে আমাকে বলে যে আমার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়নি, তাই তারা সেটি নিতে এসেছে। আমি জানাই যে অস্ত্র থানায় জমা দিয়েছি, তবে তারা কিছু শুনতে চায়নি। তারা আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।”
ডাকাতি করার সময় তারা বাসায় প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে এবং সবকিছু লুটপাট শেষে ভোর সোয়া ৪টার দিকে চলে যায় বলে জানান আবু বকর। ডাকাতরা দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করেছিল এবং প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য বাসায় ঢুকেছিল। বাইরেও কিছু সহযোগী ছিল যারা অবস্থান নিয়েছিল।
আবু বকরের মতে, লুট হওয়া ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশিরভাগ অংশ ছিল জমি বিক্রির অর্থ। এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতরা নিয়ে গেছে।
অস্ত্র এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ
ওসি ইফতেখার বলেন, ডাকাতদের সাথে বড় ধরনের অস্ত্রের মত দেখতে কিছু ছিল, যা রাইফেলের মত দেখাচ্ছিল। বাসার লোকজন মনে করেছে এটি রাইফেল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো থানা বা ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র হতে পারে।
পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে এবং তা বিশ্লেষণ করে ডাকাতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি।
ডাকাতির এই ঘটনা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের একটি দল এক বাসায় ঢুকে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এ ঘটনা ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩টার দিকে, মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা মোড়ের কাছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, ডাকাত দলটি বাসার দারোয়ানকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা লোক হিসেবে মিথ্যা প্রমাণ দেখিয়ে গেট খুলতে বাধ্য করে এবং আবু বকর নামের বাসার মালিকের বাসায় প্রবেশ করে।
পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে ঢুকে লুটপাট
ওসি ইফতেখার জানিয়েছেন, মুখে মাস্ক পরে এবং সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও হেলমেট পরে লোকজন ঢুকে এমনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল যে বাসার দারোয়ান সন্দেহ না করে তাদের জন্য গেট খুলে দেয়। তাদের সঙ্গে র্যাবের জ্যাকেট পরা এবং সাদা পোশাকের আরও কিছু সদস্য ছিল।
আবু বকর, যিনি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, বলেন, “তারা এসে আমাকে বলে যে আমার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়নি, তাই তারা সেটি নিতে এসেছে। আমি জানাই যে অস্ত্র থানায় জমা দিয়েছি, তবে তারা কিছু শুনতে চায়নি। তারা আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।”
ডাকাতি করার সময় তারা বাসায় প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে এবং সবকিছু লুটপাট শেষে ভোর সোয়া ৪টার দিকে চলে যায় বলে জানান আবু বকর। ডাকাতরা দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি প্রাইভেটকার ব্যবহার করেছিল এবং প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য বাসায় ঢুকেছিল। বাইরেও কিছু সহযোগী ছিল যারা অবস্থান নিয়েছিল।
আবু বকরের মতে, লুট হওয়া ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশিরভাগ অংশ ছিল জমি বিক্রির অর্থ। এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতরা নিয়ে গেছে।
অস্ত্র এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ
ওসি ইফতেখার বলেন, ডাকাতদের সাথে বড় ধরনের অস্ত্রের মত দেখতে কিছু ছিল, যা রাইফেলের মত দেখাচ্ছিল। বাসার লোকজন মনে করেছে এটি রাইফেল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি কোনো থানা বা ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র হতে পারে।
পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে এবং তা বিশ্লেষণ করে ডাকাতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি।
ডাকাতির এই ঘটনা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।