‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থী মৃত্যুর অভিযোগ
ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর দাবির পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে ধামাচাপার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতাল। তাঁরা বলছে, এই টাকাটা গ্রামের বাড়িতে লাশ পাঠানোর জন্য দিতে চাওয়া হয়েছিলো।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতাল ও কলেজের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
সম্মেলন সাংবাদিকদের প্রশ্নের হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, আপনারা হয়তো জানেন, অভিজিতের বাবা একজন কেয়ারটেকার, এটা আমরাও জানতাম। অভিজিতের মৃত্যুর সময় আইসিইউতে বিল এসেছিলো ৩৬ হাজারের মতো। তারা বাবা এটা মওকুফের জন্য অনুরোধ করেন। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে বিল পরিশোধ করা হবে এর প্রেক্ষিতে রোগীর সম্পূর্ণ বিল স্থগিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সেদিন রাত ২-৩ টা বেজে গিয়েছিলো। অভিজিতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার জন্য ১০ হাজার প্রয়োজন ছিলো। সেদিন সেটি দিতে চাওয়া হয়।
কিন্তু ওনার বাবা আঞ্জুমান মফিদুলের সাথে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স করে। তাই পরে উনি বলে টাকা টা লাগবে না।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রি. জে. (অব.) ডা. ইফফাত আরা।
তিনি বলেন, ২০ তারিখ আলোচনায় মাহবুবর রহমান কলেজের ছাত্ররা ৯ টি বিষয় উত্থাপন করেন। আমরা ছাত্র, শিক্ষক এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে বিশদ আলোচনা ও ব্যাখ্যা প্রদান করি। এতে তারা সন্তোই হয়ে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এই ফলপ্রসূ আলোচনার সঠিক তথ্য সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে উপস্থাপন না করে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ইফফাত আরা বলেন, পরবর্তীতে ২১ তারিখ ২য় দফায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং অভিভাবক (পিতা) প্রতিনিধিদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়। তখন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দেয়ার অনুরোধ করা হলে আফতাব আহমেদসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সম্মতিক্রমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিত-এর স্থানীয় অভিভাবক, কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উপস্থিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ সর্ব সম্মতিক্রমে পূর্ব গঠিত ০৬ সদস্য তদন্ত কমিটি পুনঃগঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের বিষয়টি যেহেতু একটি মেডিকেল ইস্যু এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সত্যতা যাচাই করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব সেহেতু তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের মনোনীত ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ চিকিৎয়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উক্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আফতাব আহমেদ ৩ ঘণ্টার মধ্যে নাম দিবেন বলে বলেন কিন্তু অদ্যাবধি সে কোন ডাক্তারের নাম সুপারিশ করেন নাই।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গতা নিশ্চিত করে অভিজিতের চিকিৎসায় কোন ধরনের গাফিলতি বা অবহেলা ছিল কিনা এ ব্যাপারে দ্রুত অনুসন্ধান করে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই সিদ্ধান্তে অভিজিতের পরিবার ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরাও এক মত হয়ে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, কতিপয় ছাত্র প্রতিনিধি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে গঠনমূলক আলোচনার ফলাফল কোমলমতি সাধারণ ছাত্রদের মাঝে প্রচার না করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসত্য ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রদান করে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে এবং রোগী সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়, বহিঃবিভাগ, জরুরী বিভাগ, দন্ত বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক ভাংচুর করে। এছাড়া ক্যাশ কাউন্টারে ভাংচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দেশী-বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ রোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সেবায় নিয়োজিত পূবালী ব্যাংকের শাখাতেও ব্যাপক ভাংচুর করে। তাদের এই বর্বরোচিত হামলায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০ (দশ) কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
ছাত্র প্রতিনিধিদের অসহযোগিতার কারণে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ গাফিলতি বা স্বদিচ্ছার অভাব না থাকলেও ভুল চিকিৎসা বা বিলম্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবার সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট করা, হাসপাতালের সকলস্তরের চিকিৎসক নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে হাস্য্যাতাল ও কলেজ ভবনের ব্যাপক ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করা, অসুস্থ্য রোগীদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান পরিচালক।
মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. শামসুর রহমান বলেন, মৃত্যুন ঘটনার সাথে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ কোনো ভাবেই সম্পৃক্ত নয়। তারপরও কেনো কলেজে হামলা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি জানান, তদন্তের জন্য কয়েকজন ডাক্তারকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থী মৃত্যুর অভিযোগ
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর দাবির পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে ধামাচাপার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতাল। তাঁরা বলছে, এই টাকাটা গ্রামের বাড়িতে লাশ পাঠানোর জন্য দিতে চাওয়া হয়েছিলো।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতাল ও কলেজের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
সম্মেলন সাংবাদিকদের প্রশ্নের হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, আপনারা হয়তো জানেন, অভিজিতের বাবা একজন কেয়ারটেকার, এটা আমরাও জানতাম। অভিজিতের মৃত্যুর সময় আইসিইউতে বিল এসেছিলো ৩৬ হাজারের মতো। তারা বাবা এটা মওকুফের জন্য অনুরোধ করেন। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে বিল পরিশোধ করা হবে এর প্রেক্ষিতে রোগীর সম্পূর্ণ বিল স্থগিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সেদিন রাত ২-৩ টা বেজে গিয়েছিলো। অভিজিতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার জন্য ১০ হাজার প্রয়োজন ছিলো। সেদিন সেটি দিতে চাওয়া হয়।
কিন্তু ওনার বাবা আঞ্জুমান মফিদুলের সাথে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স করে। তাই পরে উনি বলে টাকা টা লাগবে না।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রি. জে. (অব.) ডা. ইফফাত আরা।
তিনি বলেন, ২০ তারিখ আলোচনায় মাহবুবর রহমান কলেজের ছাত্ররা ৯ টি বিষয় উত্থাপন করেন। আমরা ছাত্র, শিক্ষক এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে বিশদ আলোচনা ও ব্যাখ্যা প্রদান করি। এতে তারা সন্তোই হয়ে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে এই ফলপ্রসূ আলোচনার সঠিক তথ্য সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে উপস্থাপন না করে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ইফফাত আরা বলেন, পরবর্তীতে ২১ তারিখ ২য় দফায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং অভিভাবক (পিতা) প্রতিনিধিদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়। তখন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দেয়ার অনুরোধ করা হলে আফতাব আহমেদসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সম্মতিক্রমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিত-এর স্থানীয় অভিভাবক, কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উপস্থিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ সর্ব সম্মতিক্রমে পূর্ব গঠিত ০৬ সদস্য তদন্ত কমিটি পুনঃগঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের বিষয়টি যেহেতু একটি মেডিকেল ইস্যু এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সত্যতা যাচাই করা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব সেহেতু তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের মনোনীত ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ চিকিৎয়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উক্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আফতাব আহমেদ ৩ ঘণ্টার মধ্যে নাম দিবেন বলে বলেন কিন্তু অদ্যাবধি সে কোন ডাক্তারের নাম সুপারিশ করেন নাই।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গতা নিশ্চিত করে অভিজিতের চিকিৎসায় কোন ধরনের গাফিলতি বা অবহেলা ছিল কিনা এ ব্যাপারে দ্রুত অনুসন্ধান করে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই সিদ্ধান্তে অভিজিতের পরিবার ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরাও এক মত হয়ে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন।
হাসপাতাল পরিচালক বলেন, কতিপয় ছাত্র প্রতিনিধি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে গঠনমূলক আলোচনার ফলাফল কোমলমতি সাধারণ ছাত্রদের মাঝে প্রচার না করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসত্য ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রদান করে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করে এবং রোগী সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়, বহিঃবিভাগ, জরুরী বিভাগ, দন্ত বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক ভাংচুর করে। এছাড়া ক্যাশ কাউন্টারে ভাংচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দেশী-বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ রোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সেবায় নিয়োজিত পূবালী ব্যাংকের শাখাতেও ব্যাপক ভাংচুর করে। তাদের এই বর্বরোচিত হামলায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০ (দশ) কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
ছাত্র প্রতিনিধিদের অসহযোগিতার কারণে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ গাফিলতি বা স্বদিচ্ছার অভাব না থাকলেও ভুল চিকিৎসা বা বিলম্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবার সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট করা, হাসপাতালের সকলস্তরের চিকিৎসক নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে হাস্য্যাতাল ও কলেজ ভবনের ব্যাপক ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করা, অসুস্থ্য রোগীদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান পরিচালক।
মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. শামসুর রহমান বলেন, মৃত্যুন ঘটনার সাথে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ কোনো ভাবেই সম্পৃক্ত নয়। তারপরও কেনো কলেজে হামলা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি জানান, তদন্তের জন্য কয়েকজন ডাক্তারকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।