বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে তাদের অহিংস আন্দোলনে কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রতিনিধি সুমন রায় এই অভিযোগ তোলেন।
চট্টগ্রামে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুমন রায় বলেন, “আমাদের আন্দোলন সবসময় অহিংস। কিন্তু কিছু ব্যক্তি আন্দোলনে ঢুকে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে কলঙ্কিত করতে চাইছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রামে হিন্দু আইনজীবীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনের জন্য বুধবারের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে চিন্ময়কে রাখা কারাগারের উদ্দেশে লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা জানান, জোটের সদস্যরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে প্রস্তুত।
জোটের নেতারা অভিযোগ করেন যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রসেনজিৎ কুমার হালদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে উল্লেখ করা হয় যে, চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সমর্থকেরা ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর জোটের সমর্থকেরা শাহবাগ থানার অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে। তবে সেখানে কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তি লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে প্রায় ৩০ জন আহত হন, তিনজন গুরুতর আহত হন এবং দুই নারী শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন।
জোটের নেতারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কারণ হামলার সময় পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাকচ হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করা হয়েছে, যার শুনানি আগামীকাল নির্ধারিত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী, পলাশ কান্তি দে, তন্ময় মৌলিকসহ জোটের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে তাদের অহিংস আন্দোলনে কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রতিনিধি সুমন রায় এই অভিযোগ তোলেন।
চট্টগ্রামে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুমন রায় বলেন, “আমাদের আন্দোলন সবসময় অহিংস। কিন্তু কিছু ব্যক্তি আন্দোলনে ঢুকে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে কলঙ্কিত করতে চাইছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রামে হিন্দু আইনজীবীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনের জন্য বুধবারের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে চিন্ময়কে রাখা কারাগারের উদ্দেশে লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা জানান, জোটের সদস্যরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে প্রস্তুত।
জোটের নেতারা অভিযোগ করেন যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রসেনজিৎ কুমার হালদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে উল্লেখ করা হয় যে, চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সমর্থকেরা ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর জোটের সমর্থকেরা শাহবাগ থানার অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে। তবে সেখানে কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তি লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে প্রায় ৩০ জন আহত হন, তিনজন গুরুতর আহত হন এবং দুই নারী শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন।
জোটের নেতারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কারণ হামলার সময় পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাকচ হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করা হয়েছে, যার শুনানি আগামীকাল নির্ধারিত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী, পলাশ কান্তি দে, তন্ময় মৌলিকসহ জোটের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।