পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি ও অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশেষ কাঠামো গঠনের প্রস্তাব
পুলিশ সংস্কার কমিশন একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, পুলিশ এই কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। জাতীয় সংসদের সরকারি দল ও বিরোধী দলের দুজন করে সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এই কমিশন।
আজ (বুধবার) পুলিশ সংস্কার কমিশনসহ চারটি সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেবে। এই চারটি কমিশনের মধ্যে রয়েছে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের অধীনে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করবে।
এছাড়া পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মকর্তাদের একটি তালিকা বা ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। সুপারিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের জন্য পৃথক মেডিকেল কোর এবং টেকনিক্যাল কোর গঠন করা প্রয়োজন।
জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এ লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
প্রথম ধাপে অক্টোবর মাসে গঠিত কমিশনগুলো হলো—নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের প্রতিবেদন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে কাজ অসমাপ্ত থাকায় ৩ জানুয়ারি সময় বাড়ানো হয়।
আজ বুধবার, চারটি কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিকেল তিনটায় একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাবের প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কার প্রস্তাবগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। এ মাসেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো বাস্তবায়নের একটি সময়সূচি ও রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।
প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের সময়সীমা আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জন্য বাড়তি সময় চাওয়া হয়েছে।
সরকার মনে করছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য অপরিহার্য। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, এ লক্ষ্যে সরকার একটি সময়োপযোগী ও গ্রহণযোগ্য কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে এবং পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি ও অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশেষ কাঠামো গঠনের প্রস্তাব
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
পুলিশ সংস্কার কমিশন একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, পুলিশ এই কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। জাতীয় সংসদের সরকারি দল ও বিরোধী দলের দুজন করে সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এই কমিশন।
আজ (বুধবার) পুলিশ সংস্কার কমিশনসহ চারটি সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেবে। এই চারটি কমিশনের মধ্যে রয়েছে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের অধীনে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করবে।
এছাড়া পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মকর্তাদের একটি তালিকা বা ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। সুপারিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের জন্য পৃথক মেডিকেল কোর এবং টেকনিক্যাল কোর গঠন করা প্রয়োজন।
জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এ লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
প্রথম ধাপে অক্টোবর মাসে গঠিত কমিশনগুলো হলো—নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের প্রতিবেদন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে কাজ অসমাপ্ত থাকায় ৩ জানুয়ারি সময় বাড়ানো হয়।
আজ বুধবার, চারটি কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিকেল তিনটায় একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাবের প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কার প্রস্তাবগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। এ মাসেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো বাস্তবায়নের একটি সময়সূচি ও রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।
প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের সময়সীমা আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জন্য বাড়তি সময় চাওয়া হয়েছে।
সরকার মনে করছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য অপরিহার্য। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, এ লক্ষ্যে সরকার একটি সময়োপযোগী ও গ্রহণযোগ্য কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে এবং পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।