অন্য অভিযুক্তদের ধরতে চলমান তদন্ত, নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন
ষরাজধানীর মতিঝিলে বুধবার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পৃথক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল একটি ফেসবুক পোস্টে হামলার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, "এই ঘটনার অবশ্যই বিচার হবে। দুইজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে।"
এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, "ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। রাজপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর চলতে দেয়া হবে না।"
বুধবার দুপুরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকে "আদিবাসী" শব্দ পুনর্বহালের দাবিতে একটি কর্মসূচি পালন করতে গেলে এ হামলা হয়। এ ঘটনায় অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেত্রীও রয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, "স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি" নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সংগঠনটি এনসিটিবি ভবনের সামনে পাঠ্যপুস্তকে "আদিবাসী" শব্দ অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে একটি কর্মসূচি পালন করছিল।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। তারা অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ (ইউপিডিএফ) সাতটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "এ ধরনের হামলা শুধু শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ নয়, এটি আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার হরণের অপপ্রয়াস।"
সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে এই ঘটনায় জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তকে "আদিবাসী" শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এই ঘটনার পর থেকে মতিঝিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্য অভিযুক্তদের ধরতে চলমান তদন্ত, নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
ষরাজধানীর মতিঝিলে বুধবার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পৃথক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল একটি ফেসবুক পোস্টে হামলার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, "এই ঘটনার অবশ্যই বিচার হবে। দুইজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে।"
এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, "ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। রাজপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর চলতে দেয়া হবে না।"
বুধবার দুপুরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকে "আদিবাসী" শব্দ পুনর্বহালের দাবিতে একটি কর্মসূচি পালন করতে গেলে এ হামলা হয়। এ ঘটনায় অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেত্রীও রয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, "স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি" নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সংগঠনটি এনসিটিবি ভবনের সামনে পাঠ্যপুস্তকে "আদিবাসী" শব্দ অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে একটি কর্মসূচি পালন করছিল।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। তারা অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ (ইউপিডিএফ) সাতটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "এ ধরনের হামলা শুধু শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ নয়, এটি আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার হরণের অপপ্রয়াস।"
সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে এই ঘটনায় জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঠ্যপুস্তকে "আদিবাসী" শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকলেও সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এই ঘটনার পর থেকে মতিঝিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।