এক যুগ পর এমএলএম কোম্পানির চেয়ারম্যানের মুক্তি, সঙ্গী ছিলেন আত্মীয়স্বজন
ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এক যুগ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে তিনি মুক্ত হন। কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন নিশ্চিত করেছেন যে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
জেল সুপার জানান, মোহাম্মদ হোসেনের মুক্তির জন্য যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা বা আটকাদেশ নেই। এরপরই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কারাগারের গেইটে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করছিলেন তার আত্মীয়স্বজন ও ডেসটিনি পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনও মুক্তি পান। তিনি কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসেনসহ কোম্পানির আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম তাদের ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।
সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল আমীন মুক্তি পেলেও রফিকুলের স্ত্রী ফারহা দিবা এখনও কারাগারে আছেন। তার সাজার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার আড়ালে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার। দীর্ঘ সময় ধরে আলোচিত এ মামলায় রায় ঘোষণার পর ১২ বছর কারাভোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখন ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছেন।
এমএলএম ব্যবসার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ডেসটিনি গ্রুপ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা হারালেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া আইনি পদক্ষেপ এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
কারামুক্তি পেলেও মোহাম্মদ হোসেন এবং রফিকুল আমীনের মুক্তি ডেসটিনি গ্রুপের বিতর্কিত ইতিহাসে নতুন কোনো মোড় আনতে পারে কিনা, সেটি সময়ই বলে দেবে।
এক যুগ পর এমএলএম কোম্পানির চেয়ারম্যানের মুক্তি, সঙ্গী ছিলেন আত্মীয়স্বজন
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এক যুগ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে তিনি মুক্ত হন। কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন নিশ্চিত করেছেন যে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
জেল সুপার জানান, মোহাম্মদ হোসেনের মুক্তির জন্য যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা বা আটকাদেশ নেই। এরপরই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কারাগারের গেইটে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করছিলেন তার আত্মীয়স্বজন ও ডেসটিনি পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনও মুক্তি পান। তিনি কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসেনসহ কোম্পানির আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম তাদের ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়।
সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় মোহাম্মদ হোসেন ও রফিকুল আমীন মুক্তি পেলেও রফিকুলের স্ত্রী ফারহা দিবা এখনও কারাগারে আছেন। তার সাজার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার আড়ালে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার। দীর্ঘ সময় ধরে আলোচিত এ মামলায় রায় ঘোষণার পর ১২ বছর কারাভোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখন ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছেন।
এমএলএম ব্যবসার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ডেসটিনি গ্রুপ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা হারালেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া আইনি পদক্ষেপ এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
কারামুক্তি পেলেও মোহাম্মদ হোসেন এবং রফিকুল আমীনের মুক্তি ডেসটিনি গ্রুপের বিতর্কিত ইতিহাসে নতুন কোনো মোড় আনতে পারে কিনা, সেটি সময়ই বলে দেবে।