৭৪ শতাংশ পুড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ নাতি বাবুল কাজী শনিবার ভোরে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, ভোর পাঁচটার দিকে বনানীর বাসায় বাথরুমে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে বাবুল কাজী আহত হন। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ পুড়ে গেছে, এবং শ্বাসনালীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ডা. শাওন আরও বলেন, “বাবুল কাজীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।”
বাবুল কাজীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বড় বোন খিলখিল কাজী ফোন ধরেননি। তবে সারোয়ারি নামের এক স্বজন জানিয়েছেন, “খিলখিল কাজী বর্তমানে ব্যস্ত। তার ভাই আইসিইউতে ভর্তি, তাই তিনি কথা বলতে পারছেন না।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২৫ বছর বয়সে প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন। তাদের চার সন্তান ছিল—কৃষ্ণ মোহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ বুলবুল, কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ। তবে প্রথম দুই সন্তান অল্প বয়সেই মারা যান।
তৃতীয় সন্তান কাজী সব্যসাচী ও তার স্ত্রী উমা কাজীর তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বাবুল কাজী। ৫৯ বছর বয়সী বাবুল কাজী বাংলাদেশের নাগরিক এবং তার বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজীও বাংলাদেশে বসবাস করেন।
অন্যদিকে কাজী নজরুলের চতুর্থ সন্তান কাজী অনিরুদ্ধের পরিবার কলকাতায় বসবাস করেন। তার স্ত্রী কল্যাণী কাজী লেখক ও সংগীতশিল্পী। তাদের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে কাজী অনির্বাণ সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের সময় গত ২ অক্টোবর মারা যান।
ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাবুল কাজীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তার শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়েছে। শ্বাসনালীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা তার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন বাবুল কাজীর জন্য অত্যন্ত সংকটাপন্ন হতে পারে।
৭৪ শতাংশ পুড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ নাতি বাবুল কাজী শনিবার ভোরে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, ভোর পাঁচটার দিকে বনানীর বাসায় বাথরুমে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে বাবুল কাজী আহত হন। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ পুড়ে গেছে, এবং শ্বাসনালীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
ডা. শাওন আরও বলেন, “বাবুল কাজীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।”
বাবুল কাজীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বড় বোন খিলখিল কাজী ফোন ধরেননি। তবে সারোয়ারি নামের এক স্বজন জানিয়েছেন, “খিলখিল কাজী বর্তমানে ব্যস্ত। তার ভাই আইসিইউতে ভর্তি, তাই তিনি কথা বলতে পারছেন না।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২৫ বছর বয়সে প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন। তাদের চার সন্তান ছিল—কৃষ্ণ মোহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ বুলবুল, কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ। তবে প্রথম দুই সন্তান অল্প বয়সেই মারা যান।
তৃতীয় সন্তান কাজী সব্যসাচী ও তার স্ত্রী উমা কাজীর তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বাবুল কাজী। ৫৯ বছর বয়সী বাবুল কাজী বাংলাদেশের নাগরিক এবং তার বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজীও বাংলাদেশে বসবাস করেন।
অন্যদিকে কাজী নজরুলের চতুর্থ সন্তান কাজী অনিরুদ্ধের পরিবার কলকাতায় বসবাস করেন। তার স্ত্রী কল্যাণী কাজী লেখক ও সংগীতশিল্পী। তাদের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে কাজী অনির্বাণ সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের সময় গত ২ অক্টোবর মারা যান।
ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাবুল কাজীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তার শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়েছে। শ্বাসনালীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা তার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন বাবুল কাজীর জন্য অত্যন্ত সংকটাপন্ন হতে পারে।