সমালোচনার মুখে তালিকা পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪-এর নাম ঘোষণা করার দুই দিনের মাথায় তা স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে বাংলা একাডেমি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তালিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। ঘোষিত তালিকায় ছিলেন—
কবিতায় মাসুদ খান
কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ
নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা
প্রবন্ধ-গদ্যে সলিমুল্লাহ খান
শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ
অনুবাদে জি এইচ হাবীব
গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া
বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান
ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
তবে তালিকাটি প্রকাশের পরই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে প্রধান অভিযোগ ছিল, এ তালিকায় কোনো নারী মনোনীত হননি। অন্যদিকে, মনোনীত কয়েকজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে।
সামাজিক আলোচনার মধ্যেই সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা প্রয়োজন, যে আজব নীতিমালা এই ধরনের উদ্ভট এবং কোটারি পুরস্কারের সুযোগ করে দেয়, সেগুলো দ্রুত রিভিউ করা আমাদের প্রথম কাজ।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলা একাডেমি কীভাবে পরিচালিত হবে, কোন নীতিতে চলবে—এগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। দেশের সংস্কার যদি হতে পারে, তাহলে বাংলা একাডেমির সংস্কারও হওয়া উচিত।”
বাংলা একাডেমি তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মনোনীত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুরস্কার তালিকা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পূর্বঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে নতুন তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরস্কারের তালিকা নিয়ে প্রধানত দুটি কারণে সমালোচনা হচ্ছে। প্রথমত, এবার কোনো নারী মনোনীত হননি, যা নারী লেখক ও সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। দ্বিতীয়ত, মনোনীত কয়েকজন ব্যক্তির রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পুরস্কার প্রদানের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করবে এবং যেকোনো বিতর্ক এড়াতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ দেখে বোঝা যাচ্ছে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সমালোচনার মুখে তালিকা পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪-এর নাম ঘোষণা করার দুই দিনের মাথায় তা স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে বাংলা একাডেমি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তালিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। ঘোষিত তালিকায় ছিলেন—
কবিতায় মাসুদ খান
কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ
নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা
প্রবন্ধ-গদ্যে সলিমুল্লাহ খান
শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ
অনুবাদে জি এইচ হাবীব
গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া
বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান
ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
তবে তালিকাটি প্রকাশের পরই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে প্রধান অভিযোগ ছিল, এ তালিকায় কোনো নারী মনোনীত হননি। অন্যদিকে, মনোনীত কয়েকজনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে।
সামাজিক আলোচনার মধ্যেই সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা প্রয়োজন, যে আজব নীতিমালা এই ধরনের উদ্ভট এবং কোটারি পুরস্কারের সুযোগ করে দেয়, সেগুলো দ্রুত রিভিউ করা আমাদের প্রথম কাজ।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলা একাডেমি কীভাবে পরিচালিত হবে, কোন নীতিতে চলবে—এগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। দেশের সংস্কার যদি হতে পারে, তাহলে বাংলা একাডেমির সংস্কারও হওয়া উচিত।”
বাংলা একাডেমি তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় সাহিত্য পুরস্কার কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মনোনীত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুরস্কার তালিকা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পূর্বঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে নতুন তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরস্কারের তালিকা নিয়ে প্রধানত দুটি কারণে সমালোচনা হচ্ছে। প্রথমত, এবার কোনো নারী মনোনীত হননি, যা নারী লেখক ও সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। দ্বিতীয়ত, মনোনীত কয়েকজন ব্যক্তির রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পুরস্কার প্রদানের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করবে এবং যেকোনো বিতর্ক এড়াতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ দেখে বোঝা যাচ্ছে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।