শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি পূরণের জন্য অবরোধ কর্মসূচি, তীব্র যানজট সৃষ্টি
ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে তারা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন, এবং দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্তে থাকেন। তাদের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হলো, তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা এবং এর সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট দাবি পূরণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতা নায়েক নূর মোহাম্মদ বলেন, “আজকে আমরা তিতুমীরের গেটে থাকব। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।” গতকাল, বৃহস্পতিবার থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন, যার ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের আন্দোলনটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার আশ্বাসও পেয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাবি সমূহ সরকারের কাছে পৌঁছানোর কথা বলেন। কিন্তু তাতেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ছাড়েননি, এবং তারা ভোরের পরও সড়ক অবরোধ চালিয়ে যান, যদিও কিছু শিক্ষার্থী তখনও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।
শুক্রবার, জুমার নামাজের পর আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী ঘুরে এসে আবার সড়ক অবরোধ করেন। তবে ছুটির দিন হওয়ায় এদিন তেমন প্রভাব পড়েনি আশপাশের সড়কগুলোতে। গুলশান ট্রাফিক বিভাগও সড়ক বন্ধ হওয়ার কারণে বিকল্প পথে চলাচলের অনুরোধ জানায়। তারা ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানায়, "মহাখালী-আমতলী হয়ে গুলশান-১ এর দিকে এবং গুলশান-১ থেকে আমতলী রাইট টার্ন করে চলাচল বন্ধ রয়েছে।"
অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’ তাদের সাত দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে তিতুমীর কলেজের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, এবং শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি। তাদের দাবি আরও ছিল, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন ও সাংবাদিকতা বিষয়ের সংযোজন, যোগ্য পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বাড়াতে আসন সংখ্যা সীমিত করার দাবিও।
এ আন্দোলনের জন্য একাধিকবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর তারা মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন, এবং পরদিন ক্লোজডাউন তিতুমীর কর্মসূচি দেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য গত ৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ওই কমিটি যথাযথভাবে কাজ করছে না।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে নতুন করে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার দাবি জানিয়েছে, যাতে তাদের সাত দফা দাবি পূরণ হয় এবং কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি পূরণের জন্য অবরোধ কর্মসূচি, তীব্র যানজট সৃষ্টি
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে তারা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন, এবং দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্তে থাকেন। তাদের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হলো, তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা এবং এর সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট দাবি পূরণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতা নায়েক নূর মোহাম্মদ বলেন, “আজকে আমরা তিতুমীরের গেটে থাকব। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।” গতকাল, বৃহস্পতিবার থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন, যার ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের আন্দোলনটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার আশ্বাসও পেয়েছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাবি সমূহ সরকারের কাছে পৌঁছানোর কথা বলেন। কিন্তু তাতেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ছাড়েননি, এবং তারা ভোরের পরও সড়ক অবরোধ চালিয়ে যান, যদিও কিছু শিক্ষার্থী তখনও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।
শুক্রবার, জুমার নামাজের পর আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী ঘুরে এসে আবার সড়ক অবরোধ করেন। তবে ছুটির দিন হওয়ায় এদিন তেমন প্রভাব পড়েনি আশপাশের সড়কগুলোতে। গুলশান ট্রাফিক বিভাগও সড়ক বন্ধ হওয়ার কারণে বিকল্প পথে চলাচলের অনুরোধ জানায়। তারা ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানায়, "মহাখালী-আমতলী হয়ে গুলশান-১ এর দিকে এবং গুলশান-১ থেকে আমতলী রাইট টার্ন করে চলাচল বন্ধ রয়েছে।"
অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’ তাদের সাত দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে তিতুমীর কলেজের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, এবং শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি। তাদের দাবি আরও ছিল, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন ও সাংবাদিকতা বিষয়ের সংযোজন, যোগ্য পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বাড়াতে আসন সংখ্যা সীমিত করার দাবিও।
এ আন্দোলনের জন্য একাধিকবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর তারা মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন, এবং পরদিন ক্লোজডাউন তিতুমীর কর্মসূচি দেন।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য গত ৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ওই কমিটি যথাযথভাবে কাজ করছে না।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে নতুন করে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার দাবি জানিয়েছে, যাতে তাদের সাত দফা দাবি পূরণ হয় এবং কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।