শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন, সড়ক অবরোধে দুর্ভোগ
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার কথা বিবেচনায় এনে পূর্ব ঘোষিত ‘বারাসাত বেরিকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করা হলেও শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুর ১২টা থেকে মহাখালী কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে মহাখালী-গুলশান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সদস্য সাদ উল হাসান সিফাত বলেন, “আমরা ২৮ বছর ধরে আন্দোলন করছি, কিন্তু সরকার এখনো এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে, এর জন্য আমরা সরকারকেই দায়ী করব।”
আন্দোলন নিয়ে বিভিন্নভাবে ট্রল করা হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা সবাইকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, জনগণ তাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেবে।
এদিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে। এতে অংশ নেওয়া তিনজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চিকিৎসক রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, “তিনজন শিক্ষার্থী ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন, কিন্তু হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি।”
শনিবার রাতে এক ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহামুদুর রহমান মুক্তার বলেন, “আমাদের আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে—তিতুমীর কলেজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা বা আবাসিক খরচ বহন, নতুন বিষয়ে পাঠ্যক্রম সংযোজন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ, আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা এবং গবেষণাগার নির্মাণে জমি ও অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
গত ২৭ জানুয়ারি ‘তিতুমীর ঐক্য’ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। দাবি পূরণ না হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে, ৭ জানুয়ারি কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানানো হয় এবং ১৮ নভেম্বর মহাখালীতে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে, তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ—ওই কমিটি যথাযথভাবে কাজ করছে না।
শিক্ষার্থীরা আশাবাদী, সরকার দ্রুত তাদের দাবির বিষয়ে বিশেষ নজর দেবে।
শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন, সড়ক অবরোধে দুর্ভোগ
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার কথা বিবেচনায় এনে পূর্ব ঘোষিত ‘বারাসাত বেরিকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি’ কর্মসূচি শিথিল করা হলেও শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুর ১২টা থেকে মহাখালী কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে মহাখালী-গুলশান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সদস্য সাদ উল হাসান সিফাত বলেন, “আমরা ২৮ বছর ধরে আন্দোলন করছি, কিন্তু সরকার এখনো এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে, এর জন্য আমরা সরকারকেই দায়ী করব।”
আন্দোলন নিয়ে বিভিন্নভাবে ট্রল করা হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা সবাইকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, জনগণ তাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেবে।
এদিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলছে। এতে অংশ নেওয়া তিনজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চিকিৎসক রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, “তিনজন শিক্ষার্থী ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন, কিন্তু হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি।”
শনিবার রাতে এক ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহামুদুর রহমান মুক্তার বলেন, “আমাদের আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে—তিতুমীর কলেজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা বা আবাসিক খরচ বহন, নতুন বিষয়ে পাঠ্যক্রম সংযোজন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ, আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা এবং গবেষণাগার নির্মাণে জমি ও অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
গত ২৭ জানুয়ারি ‘তিতুমীর ঐক্য’ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। দাবি পূরণ না হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে, ৭ জানুয়ারি কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানানো হয় এবং ১৮ নভেম্বর মহাখালীতে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে, তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ—ওই কমিটি যথাযথভাবে কাজ করছে না।
শিক্ষার্থীরা আশাবাদী, সরকার দ্রুত তাদের দাবির বিষয়ে বিশেষ নজর দেবে।