মোনার্ক হোল্ডিংসকে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শিবলীসহ মোট ছয়জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন—মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিল বাংলা ফেব্রিক্সের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, এবং ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে শিবলী রুবাইয়াতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার পরদিনই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দেয় দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিবলী রুবাইয়াত ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তি দেখিয়ে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং ভুয়া পণ্য রপ্তানির কৌশলে আরও ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকা ঘুষ নেন।
তিনি ২০২০ সালের ১৭ মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মোনার্ক হোল্ডিং ইনক থেকে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ আসে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সাউথইস্ট ব্যাংকের তার অ্যাকাউন্টে মোনার্কের ব্যাংক হিসাব থেকে চারটি লেনদেনে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়, যা তিনি পারিবারিক খরচ হিসেবে ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের দাবি, এটি আসলে ঘুষ ছিল এবং এ অর্থ বৈধতা দিতে জাবেদ এ মতিনের সঙ্গে ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তি করেন তিনি।
পাশাপাশি, শিবলী তার মালিকানাধীন ঝিল বাংলা ফেব্রিক্স নামীয় একটি শেল কোম্পানির মাধ্যমে ভুয়া রপ্তানি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার ২৪০ টাকা গ্রহণ করেন। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না, এমনকি ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও সেখানে কোনো পণ্য উৎপাদনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এজাহারে বলা হয়েছে, শিবলী এই অর্থের একটি অংশ দিয়ে ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ২৯৬ টাকা ঋণ পরিশোধ দেখান এবং নগদ ৯৫ লাখ ২ হাজার ৫২৪ টাকা উত্তোলন করেন।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, অবশিষ্ট টাকা তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান এবং জাবেদ এ মতিনের বাংলাদেশি মার্চেন্ট ব্যাংকিং হিসাবসহ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে জমা করান।
শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক থাকাকালে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। গত ৯ অক্টোবর, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
মোনার্ক হোল্ডিংসকে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শিবলীসহ মোট ছয়জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন—মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিল বাংলা ফেব্রিক্সের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, এবং ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে শিবলী রুবাইয়াতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার পরদিনই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দেয় দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিবলী রুবাইয়াত ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তি দেখিয়ে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং ভুয়া পণ্য রপ্তানির কৌশলে আরও ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকা ঘুষ নেন।
তিনি ২০২০ সালের ১৭ মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মোনার্ক হোল্ডিং ইনক থেকে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ আসে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সাউথইস্ট ব্যাংকের তার অ্যাকাউন্টে মোনার্কের ব্যাংক হিসাব থেকে চারটি লেনদেনে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়, যা তিনি পারিবারিক খরচ হিসেবে ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের দাবি, এটি আসলে ঘুষ ছিল এবং এ অর্থ বৈধতা দিতে জাবেদ এ মতিনের সঙ্গে ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তি করেন তিনি।
পাশাপাশি, শিবলী তার মালিকানাধীন ঝিল বাংলা ফেব্রিক্স নামীয় একটি শেল কোম্পানির মাধ্যমে ভুয়া রপ্তানি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার ২৪০ টাকা গ্রহণ করেন। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না, এমনকি ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও সেখানে কোনো পণ্য উৎপাদনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
এজাহারে বলা হয়েছে, শিবলী এই অর্থের একটি অংশ দিয়ে ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ২৯৬ টাকা ঋণ পরিশোধ দেখান এবং নগদ ৯৫ লাখ ২ হাজার ৫২৪ টাকা উত্তোলন করেন।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, অবশিষ্ট টাকা তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান এবং জাবেদ এ মতিনের বাংলাদেশি মার্চেন্ট ব্যাংকিং হিসাবসহ তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে জমা করান।
শিবলী রুবাইয়াত ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক থাকাকালে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। গত ৯ অক্টোবর, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।