বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং অন্যান্য দাবিদাওয়া নিষ্পত্তির আশ্বাসে রেলভবন ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রমিক নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, “আগামী রোববারের মধ্যে শ্রমিকদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। অন্যান্য দাবির বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “বকেয়া বেতন পরিশোধসহ আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সময় বেঁধে দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না হলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।”
সোমবার সকাল থেকে ঢাকার আবদুল গণি রোডের রেলভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ অস্থায়ী শ্রমিক। তারা পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে প্রধান ফটক অবরোধ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও রেলওয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনেও বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাওন বলেন, “টিএলআর কর্মচারীরা ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় পরিবার নিয়ে চলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
“বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রেলভবন ও রেলপথ মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।”
বেলা ১১টার দিকে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা রেলভবনের সামনে এসে শ্রমিকদের তিনজন প্রতিনিধিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে। তবে এর আগেও বিভিন্ন সময় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
“আমরা শুধু বেতন পরিশোধ নয়, সৈয়দপুরে ছাঁটাই হওয়া ১০৯ জন অস্থায়ী শ্রমিকের পুনর্বহাল এবং দীর্ঘদিন চাকরিরত অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবিও জানাচ্ছি।”
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিক সংগঠনের চারজন প্রতিনিধি— মোহাম্মদ শাওন, ফেরদৌস, সাব্বির ও লিখন রেলভবনে যান।
সেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হয়। মন্ত্রণালয় আগামী রোববারের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিক প্রতিনিধিরা তা মেনে নেন।
এরপর বেলা সাড়ে বারোটার দিকে রেলভবন ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং অন্যান্য দাবিদাওয়া নিষ্পত্তির আশ্বাসে রেলভবন ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রমিক নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী জানান, “আগামী রোববারের মধ্যে শ্রমিকদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। অন্যান্য দাবির বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “বকেয়া বেতন পরিশোধসহ আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সময় বেঁধে দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না হলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।”
সোমবার সকাল থেকে ঢাকার আবদুল গণি রোডের রেলভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ অস্থায়ী শ্রমিক। তারা পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে প্রধান ফটক অবরোধ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও রেলওয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনেও বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাওন বলেন, “টিএলআর কর্মচারীরা ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় পরিবার নিয়ে চলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
“বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রেলভবন ও রেলপথ মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।”
বেলা ১১টার দিকে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা রেলভবনের সামনে এসে শ্রমিকদের তিনজন প্রতিনিধিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে। তবে এর আগেও বিভিন্ন সময় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
“আমরা শুধু বেতন পরিশোধ নয়, সৈয়দপুরে ছাঁটাই হওয়া ১০৯ জন অস্থায়ী শ্রমিকের পুনর্বহাল এবং দীর্ঘদিন চাকরিরত অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবিও জানাচ্ছি।”
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিক সংগঠনের চারজন প্রতিনিধি— মোহাম্মদ শাওন, ফেরদৌস, সাব্বির ও লিখন রেলভবনে যান।
সেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হয়। মন্ত্রণালয় আগামী রোববারের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিক প্রতিনিধিরা তা মেনে নেন।
এরপর বেলা সাড়ে বারোটার দিকে রেলভবন ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।