ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় হেজাজ বিন আলম (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংস্থাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত হেজাজ বিন আলমকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর আগে, তিনি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এমএসএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হেজাজের পরিবার দাবি করেছে যে, জামিনে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ তাকে হাসপাতাল থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, হেজাজ কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পান এবং জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এমএসএফ মনে করে, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি রাখে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। তাই, হেজাজের মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রণীত নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। এই আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব। এমএসএফ আশা করে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় হেজাজ বিন আলম (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। সংস্থাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত হেজাজ বিন আলমকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর আগে, তিনি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এমএসএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হেজাজের পরিবার দাবি করেছে যে, জামিনে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ তাকে হাসপাতাল থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, হেজাজ কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পান এবং জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এমএসএফ মনে করে, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি রাখে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব। তাই, হেজাজের মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রণীত নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। এই আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব। এমএসএফ আশা করে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।