সমাজে আগে তেমন দেখা না গেলেও এখন কেউ কেউ নৈতিক খবরদারি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা সংখ্যায় বেশি না হলেও তাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ। এই কণ্ঠস্বরের মোকাবিলায় উদারনৈতিক সমাজের পক্ষের মানুষদের সোচ্চার হতে হবে।
রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশকে বৈষম্যবিরোধী করার লক্ষ্যে আমরা সবচেয়ে বড় আন্দোলন করেছি, কিন্তু আমরা কি সব বৈষম্যের কথা বলি? আমরা কিছু বৈষম্যের কথা বলি, আবার কিছু এড়িয়ে যাই।’
নারী-পুরুষ বৈষম্যের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমি লিঙ্গবৈচিত্র্যের কথা বলি না, জাতীয়তার প্রশ্নে কথা বললেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বা তাদের স্বীকৃতির কথা তেমন বলি না। বহুত্ববাদী সমাজের যে ধারণা, সেটিও আমাদের চিন্তায় যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না।’
নারীর সুরক্ষার বিষয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি সুরক্ষা বা উত্তরাধিকারসহ নারীর সব ধরনের সুরক্ষার কথা কি আমরা বলি? আগে এ ধরনের খবরদারি ছিল না, কিন্তু এখন কিছু মানুষ এই দায়িত্ব নিয়েছেন।’
নৈতিক খবরদারি করতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি না হলেও তাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই কণ্ঠস্বর মোকাবিলায় সর্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে উদারনৈতিক বহুত্ববাদী সমাজের পক্ষের মানুষকে সোচ্চার হয়ে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজে ঘরে নিরাপদে থেকে অন্য কেউ পরিবর্তন নিয়ে আসবে, এমন ভাবনা বোকামি। প্রত্যেক নাগরিককে তার অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান বলেন, ‘আমরা পিছিয়ে আছি—এভাবে না ভেবে, কোন কোন অধিকার আদায় না হওয়ায় পিছিয়ে থাকার মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ বলেন, ‘আলোচনায় উঠে আসা চ্যালেঞ্জ ও ঘাটতির বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সরকার পরিকল্পনা সাজাবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙলি ও ইউএনডিপির বাংলাদেশ কার্যালয়ের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
সমাজে আগে তেমন দেখা না গেলেও এখন কেউ কেউ নৈতিক খবরদারি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা সংখ্যায় বেশি না হলেও তাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ। এই কণ্ঠস্বরের মোকাবিলায় উদারনৈতিক সমাজের পক্ষের মানুষদের সোচ্চার হতে হবে।
রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশকে বৈষম্যবিরোধী করার লক্ষ্যে আমরা সবচেয়ে বড় আন্দোলন করেছি, কিন্তু আমরা কি সব বৈষম্যের কথা বলি? আমরা কিছু বৈষম্যের কথা বলি, আবার কিছু এড়িয়ে যাই।’
নারী-পুরুষ বৈষম্যের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমি লিঙ্গবৈচিত্র্যের কথা বলি না, জাতীয়তার প্রশ্নে কথা বললেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বা তাদের স্বীকৃতির কথা তেমন বলি না। বহুত্ববাদী সমাজের যে ধারণা, সেটিও আমাদের চিন্তায় যথেষ্ট গুরুত্ব পায় না।’
নারীর সুরক্ষার বিষয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি সুরক্ষা বা উত্তরাধিকারসহ নারীর সব ধরনের সুরক্ষার কথা কি আমরা বলি? আগে এ ধরনের খবরদারি ছিল না, কিন্তু এখন কিছু মানুষ এই দায়িত্ব নিয়েছেন।’
নৈতিক খবরদারি করতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি না হলেও তাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই কণ্ঠস্বর মোকাবিলায় সর্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে উদারনৈতিক বহুত্ববাদী সমাজের পক্ষের মানুষকে সোচ্চার হয়ে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজে ঘরে নিরাপদে থেকে অন্য কেউ পরিবর্তন নিয়ে আসবে, এমন ভাবনা বোকামি। প্রত্যেক নাগরিককে তার অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান বলেন, ‘আমরা পিছিয়ে আছি—এভাবে না ভেবে, কোন কোন অধিকার আদায় না হওয়ায় পিছিয়ে থাকার মতো অবস্থা তৈরি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ বলেন, ‘আলোচনায় উঠে আসা চ্যালেঞ্জ ও ঘাটতির বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সরকার পরিকল্পনা সাজাবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙলি ও ইউএনডিপির বাংলাদেশ কার্যালয়ের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার।