ঢাকার নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। ‘অবৈধ বহিষ্কারাদেশ’ প্রত্যাহার, ‘দমনমূলক’ সিন্ডিকেটের জবাবদিহি এবং শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে শনিবার সকাল থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ‘নতুনবাজার ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হলে কুড়িল থেকে বাড্ডাগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, “শিক্ষার্থীরা সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়েছেন। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ঘটনাস্থলে এসে কথা বলছেন।”
অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মুখে ছিল: ‘হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে’, ‘প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার’, ‘অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়’ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে একাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন হস্তক্ষেপ ও আলোচনা সত্ত্বেও ন্যায্য সমাধান আসেনি বলে দাবি তাদের।
আন্দোলনের মুখে উপাচার্যসহ ২৪ জন ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালক পদত্যাগ করেন। ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি ক্লাস, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, “দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় তারা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।”
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
ঢাকার নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। ‘অবৈধ বহিষ্কারাদেশ’ প্রত্যাহার, ‘দমনমূলক’ সিন্ডিকেটের জবাবদিহি এবং শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে শনিবার সকাল থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ‘নতুনবাজার ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হলে কুড়িল থেকে বাড্ডাগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, “শিক্ষার্থীরা সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়েছেন। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ঘটনাস্থলে এসে কথা বলছেন।”
অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও স্লোগানে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মুখে ছিল: ‘হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে’, ‘প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার’, ‘অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়’ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে একাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন হস্তক্ষেপ ও আলোচনা সত্ত্বেও ন্যায্য সমাধান আসেনি বলে দাবি তাদের।
আন্দোলনের মুখে উপাচার্যসহ ২৪ জন ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালক পদত্যাগ করেন। ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি ক্লাস, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, “দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় তারা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।”