অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকা ‘চাঁদপুর শহরের ইলিশ চত্ত্বর’ সংস্কার করে আরো দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামের নতুন প্যাভিলিয়নের সামনে ইলিশ চত্ত্বরের সংস্কার কাজ চলছে। বুধবার দুপুরে সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়ুয়া। এ সময় তিনি জানান, ইলিশের আগের অবয়বের মধ্যে বড় জায়গাটি ছোট করা হচ্ছে। মানুষের চলাচল ও যানবাহনের স্পেস বাড়ানোর লক্ষে্ চত্বরের বাড়তি অংশটি ভেঙে নতুন করে বানানো হচ্ছে।খুব দ্রুত সংস্কার কাজ শেষে দৃষ্টিনন্দন রূপে ফিরিয়ে আনা হবে স্থাপনাটি।
‘চাঁদপুর ইলিশ চত্বর’ চাঁদপুর শহর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান। গত বছর জুলাই (৫ আগস্ট)আন্দোলনে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চাঁদপুর লেকের পাড় অঙ্গীকার, মিশন রোডের মাথা, চাঁদপুর স্টেডিয়ামের ইলিশ চত্বর ও বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল মার্কেট চত্বর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ছিল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটার সময় এই ইলিশ চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তাদের উপর হামলা করা হয়। এরপর থেকে আন্দোলনের দাবানল বাস স্ট্যান্ড ও ফয়সাল শপিং মার্কেটসহ আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে শহর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
নতুন বাস্তবতায় চাঁদপুর জেলা শহরের এই স্থানটিও শহরবাসীর কাছে খুবই পরিচিত।
অপরদিকে, ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর জেলা সারা দেশে মিঠা পানির সুস্বাদু ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে সুপরিচিত। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছের ব্যাপক জনপ্রিয়তার ফলে দেশে ও বিদেশে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ ব্রান্ড পরিচিতি লাভ করে। তাই ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর ’এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রাচীন শহরের ব্যস্ততম এলাকা তালতলা, চাঁদপুর স্টেডিয়াম, পৌর বাসস্ট্যান্ড এবং সরকারি অফিসার্স কোয়াটারের ত্রিমুখী রাস্তার মিলন স্থলে চাঁদপুর পৌরসভার উদ্যোগে বিখ্যাত ভাস্কর শিল্পী স্বপন আচার্যের নিখুঁত কারুকাজে স্টেডিয়ামের সামনের সড়কের অনেকখানি জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয় এই ইলিশ চত্বর। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর শহরে যানবাহনের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী ও শহরবাসীদের। বিশেষ করে ইলিশ চত্বরের এই জায়গাটিতে যানজট হয়ে যায় নিত্যদিনের সঙ্গী। যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে অনেকটা বাধ্য হয়েই জেলা প্রশাসকের পরামর্শক্রমে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষ ইলিশ চত্বরের মূল কাঠামো ঠিক রেখে উত্তর-পূর্ব কর্ণার ও পশ্চিম দক্ষিণ কর্নারের এই ২ দিকের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয়। এতে করে চত্বরটির চার দিকে রাস্তা প্রশস্ত হবে এবং যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
এই বিষয়ে চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া বলেন, চাঁদপুরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক বহনকারী ইলিশ চত্বরের মূল কাঠামো ঠিক রেখে এর বর্ধিত অংশ ভেঙ্গেছি। যানজট নিরসন ও রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের পরামর্শক্রমে আমরা এই কাজ করি। এতে করে রাস্তা চতুর্দিকেই প্রশস্ত হচ্ছে। গাড়ি ঘুরাতে সুবিধা হবে। এক দিকে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, অন্যদিকে সাংস্কৃতিক প্রতীকের সংরক্ষণ-এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার পরে আমরা ইলিশ চত্বর এর মূল কাঠামোটাকে বেষ্টনী করে আরো নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলবো। যা যুগের পর যুগ প্রতীক হিসেবে চাঁদপুরের ইলিশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংস্কৃতি বহন করবে।
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকা ‘চাঁদপুর শহরের ইলিশ চত্ত্বর’ সংস্কার করে আরো দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামের নতুন প্যাভিলিয়নের সামনে ইলিশ চত্ত্বরের সংস্কার কাজ চলছে। বুধবার দুপুরে সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়ুয়া। এ সময় তিনি জানান, ইলিশের আগের অবয়বের মধ্যে বড় জায়গাটি ছোট করা হচ্ছে। মানুষের চলাচল ও যানবাহনের স্পেস বাড়ানোর লক্ষে্ চত্বরের বাড়তি অংশটি ভেঙে নতুন করে বানানো হচ্ছে।খুব দ্রুত সংস্কার কাজ শেষে দৃষ্টিনন্দন রূপে ফিরিয়ে আনা হবে স্থাপনাটি।
‘চাঁদপুর ইলিশ চত্বর’ চাঁদপুর শহর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান। গত বছর জুলাই (৫ আগস্ট)আন্দোলনে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চাঁদপুর লেকের পাড় অঙ্গীকার, মিশন রোডের মাথা, চাঁদপুর স্টেডিয়ামের ইলিশ চত্বর ও বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল মার্কেট চত্বর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মূল কেন্দ্র ছিল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটার সময় এই ইলিশ চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তাদের উপর হামলা করা হয়। এরপর থেকে আন্দোলনের দাবানল বাস স্ট্যান্ড ও ফয়সাল শপিং মার্কেটসহ আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে শহর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
নতুন বাস্তবতায় চাঁদপুর জেলা শহরের এই স্থানটিও শহরবাসীর কাছে খুবই পরিচিত।
অপরদিকে, ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর জেলা সারা দেশে মিঠা পানির সুস্বাদু ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে সুপরিচিত। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছের ব্যাপক জনপ্রিয়তার ফলে দেশে ও বিদেশে ‘চাঁদপুরের ইলিশ’ ব্রান্ড পরিচিতি লাভ করে। তাই ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর ’এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রাচীন শহরের ব্যস্ততম এলাকা তালতলা, চাঁদপুর স্টেডিয়াম, পৌর বাসস্ট্যান্ড এবং সরকারি অফিসার্স কোয়াটারের ত্রিমুখী রাস্তার মিলন স্থলে চাঁদপুর পৌরসভার উদ্যোগে বিখ্যাত ভাস্কর শিল্পী স্বপন আচার্যের নিখুঁত কারুকাজে স্টেডিয়ামের সামনের সড়কের অনেকখানি জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয় এই ইলিশ চত্বর। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে চাঁদপুর শহরে যানবাহনের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী ও শহরবাসীদের। বিশেষ করে ইলিশ চত্বরের এই জায়গাটিতে যানজট হয়ে যায় নিত্যদিনের সঙ্গী। যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে অনেকটা বাধ্য হয়েই জেলা প্রশাসকের পরামর্শক্রমে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষ ইলিশ চত্বরের মূল কাঠামো ঠিক রেখে উত্তর-পূর্ব কর্ণার ও পশ্চিম দক্ষিণ কর্নারের এই ২ দিকের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয়। এতে করে চত্বরটির চার দিকে রাস্তা প্রশস্ত হবে এবং যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
এই বিষয়ে চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া বলেন, চাঁদপুরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক বহনকারী ইলিশ চত্বরের মূল কাঠামো ঠিক রেখে এর বর্ধিত অংশ ভেঙ্গেছি। যানজট নিরসন ও রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের পরামর্শক্রমে আমরা এই কাজ করি। এতে করে রাস্তা চতুর্দিকেই প্রশস্ত হচ্ছে। গাড়ি ঘুরাতে সুবিধা হবে। এক দিকে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, অন্যদিকে সাংস্কৃতিক প্রতীকের সংরক্ষণ-এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্ধিত অংশ ভাঙ্গার পরে আমরা ইলিশ চত্বর এর মূল কাঠামোটাকে বেষ্টনী করে আরো নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলবো। যা যুগের পর যুগ প্রতীক হিসেবে চাঁদপুরের ইলিশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংস্কৃতি বহন করবে।