জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা এবং দুজনকে হত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবে আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করে।
প্রসিকিউশন পক্ষে প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ চান। আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং গ্রেপ্তার আসামি সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে আইনজীবী সারওয়ার জাহান নিপ্পন বিবাদীদের অব্যাহতি প্রার্থনা করেন।
এ মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি রয়েছেন। বাকিরা হলেন ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান এবং সাবেক এসআই তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। আসামিদের মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় অভিযোগ গঠন নিয়ে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবীও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। তবে আংশিক শুনানি করেছেন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা একজন আসামির আইনজীবী। তার বাকি শুনানি আগামী রোববার হবে। একই সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।”
গত ৩১ জুলাই ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি।
ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। কিন্তু তাকে দেখে ফেলে পুলিশ; পরে তার ওপর গুলি ছোড়ে। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন ভুক্তভোগী এই তরুণ।
রামপুরায় একই দিন ঘটনাস্থলের সামনে আরও দুজনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় এই মামলায়।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা এবং দুজনকে হত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবে আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করে।
প্রসিকিউশন পক্ষে প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ চান। আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং গ্রেপ্তার আসামি সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের পক্ষে আইনজীবী সারওয়ার জাহান নিপ্পন বিবাদীদের অব্যাহতি প্রার্থনা করেন।
এ মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন আসামি রয়েছেন। বাকিরা হলেন ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান এবং সাবেক এসআই তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। আসামিদের মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় অভিযোগ গঠন নিয়ে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবীও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। তবে আংশিক শুনানি করেছেন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা একজন আসামির আইনজীবী। তার বাকি শুনানি আগামী রোববার হবে। একই সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।”
গত ৩১ জুলাই ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকালে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি।
ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। কিন্তু তাকে দেখে ফেলে পুলিশ; পরে তার ওপর গুলি ছোড়ে। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন ভুক্তভোগী এই তরুণ।
রামপুরায় একই দিন ঘটনাস্থলের সামনে আরও দুজনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয় এই মামলায়।