সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের ছেলে শাহেদ আহমেদ মজুমদারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান রোববার এ আদেশ দেন। শনিবার গুলশান এলাকা থেকে শাহেদ আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি জানান, “এই আসামি গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় গাড়ি ভাংচুর করেছেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তারা হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলেন। তদন্তে পাওয়া গেছে আসামি ওই গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত।”
তিনি আরও বলেন, “সামনে নির্বাচন, তাদের পলাতক নেত্রী ভারতে বসে উসকানি দিচ্ছেন। এরা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।”
শাহেদ আহমেদের পক্ষে মো. শাহাবুদ্দিন শেখ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, “এজাহারে আসামির নাম ছিল না। তার আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা নেই। তার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত এবং বর্তমানে জেলে রয়েছেন। আসামি কেবল অর্থ সহায়তাকারীর অভিযোগে অভিযুক্ত, যা বায়বীর বক্তব্য। কোন মাধ্যমে, কীভাবে, কখন অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তকারী প্রমাণ করতে পারেননি। আগে গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্যরা এই বিষয়ে কিছু বলেননি।”
আদালত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মোবাইল ফোন জব্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হ্যাঁ’। এছাড়া আসামি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো গ্রুপে জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য মোবাইল ফোন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
বিচারক বলেন, “প্রাথমিকভাবে কিছু নিয়ে আসবেন না। এত গাফিলতি হলে কীভাবে হবে? কেবল ভাববেন, আসামি কোর্টে নিয়ে আসবেন আর রিমান্ড হয়ে যাবে, এমন চিন্তাভাবনা চলবে না। সতর্ক থাকবেন।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার হাতে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এসময় তারা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন এবং জনমনে ভীতির সঞ্চার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পালানোর সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব ফোনে ব্যবহৃত মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপে আসামিরা রাষ্ট্রকে ‘অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে’ সংগঠিত হওয়ার প্রচার চালাচ্ছে বলে পুলিশ দেখতে পেয়েছে।
মামলায় বাদী গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন। মামলা দায়ের হয় ১৩ সেপ্টেম্বর, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে।
কামাল মজুমদার ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাকে ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের ছেলে শাহেদ আহমেদ মজুমদারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান রোববার এ আদেশ দেন। শনিবার গুলশান এলাকা থেকে শাহেদ আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি জানান, “এই আসামি গত ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় গাড়ি ভাংচুর করেছেন এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তারা হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলেন। তদন্তে পাওয়া গেছে আসামি ওই গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত।”
তিনি আরও বলেন, “সামনে নির্বাচন, তাদের পলাতক নেত্রী ভারতে বসে উসকানি দিচ্ছেন। এরা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।”
শাহেদ আহমেদের পক্ষে মো. শাহাবুদ্দিন শেখ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, “এজাহারে আসামির নাম ছিল না। তার আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা সংশ্লিষ্টতা নেই। তার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত এবং বর্তমানে জেলে রয়েছেন। আসামি কেবল অর্থ সহায়তাকারীর অভিযোগে অভিযুক্ত, যা বায়বীর বক্তব্য। কোন মাধ্যমে, কীভাবে, কখন অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তকারী প্রমাণ করতে পারেননি। আগে গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্যরা এই বিষয়ে কিছু বলেননি।”
আদালত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মোবাইল ফোন জব্দ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হ্যাঁ’। এছাড়া আসামি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো গ্রুপে জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য মোবাইল ফোন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
বিচারক বলেন, “প্রাথমিকভাবে কিছু নিয়ে আসবেন না। এত গাফিলতি হলে কীভাবে হবে? কেবল ভাববেন, আসামি কোর্টে নিয়ে আসবেন আর রিমান্ড হয়ে যাবে, এমন চিন্তাভাবনা চলবে না। সতর্ক থাকবেন।”
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার হাতে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এসময় তারা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন এবং জনমনে ভীতির সঞ্চার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পালানোর সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসব ফোনে ব্যবহৃত মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপে আসামিরা রাষ্ট্রকে ‘অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে’ সংগঠিত হওয়ার প্রচার চালাচ্ছে বলে পুলিশ দেখতে পেয়েছে।
মামলায় বাদী গুলশান থানার এসআই মাহাবুব হোসাইন। মামলা দায়ের হয় ১৩ সেপ্টেম্বর, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে।
কামাল মজুমদার ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাকে ২০২৪ সালের ১৯ অক্টোবর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।