রাজধানীতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে টানা ছয় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবে যায় শহরের বহু সড়ক। বুধবার দুপুর পর্যন্তও নিউ মার্কেট, গ্রিন রোড, আজিমপুর, আরামবাগ, মালিবাগ, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় দেশের সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, যা সময়ের হিসেবে সর্বোচ্চ। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, “আগামীকাল থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির প্রভাব আরও বাড়বে। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ঢাকায় ভারি বর্ষণের সতর্কতা দিচ্ছি। জলাবদ্ধতার সতর্কতা জানিয়ে দিচ্ছি, কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকা অবস্থায় যান চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। নিউ মার্কেট এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে দোকানেও ঢুকে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ী রোমান মিয়া বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। বৃষ্টি হলে কতদূর পর্যন্ত পানি উঠবে, দোকানিরা আগেই জানে। তাই মালপত্র উঁচুতে রাখা হয়। তারপরও অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, “রাতের বৃষ্টিতে ঢাকার প্রায় সব এলাকায় পানি জমেছিল। বেলা ১২টার মধ্যে আশিভাগ এলাকায় পানি নেমে গেছে। নিউ মার্কেটসহ কিছু এলাকায় এখনও পানি আছে, আমাদের কর্মীরা কাজ করছে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করার কারণে এবার অনেক এলাকায় আগের মতো জলাবদ্ধতা হয়নি। তবে বিমানবন্দর এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজ ও জলাধার ভরাটের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
দুই সিটি করপোরেশনই জানিয়েছে, ভারি বর্ষণ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। এ সময় দ্রুত পানি সরাতে তাদের ‘কুইক রেসপন্স টিম’ কাজ করবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-ড্রেন পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে টানা ছয় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবে যায় শহরের বহু সড়ক। বুধবার দুপুর পর্যন্তও নিউ মার্কেট, গ্রিন রোড, আজিমপুর, আরামবাগ, মালিবাগ, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় দেশের সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, যা সময়ের হিসেবে সর্বোচ্চ। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, “আগামীকাল থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির প্রভাব আরও বাড়বে। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ঢাকায় ভারি বর্ষণের সতর্কতা দিচ্ছি। জলাবদ্ধতার সতর্কতা জানিয়ে দিচ্ছি, কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকা অবস্থায় যান চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। নিউ মার্কেট এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে দোকানেও ঢুকে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ী রোমান মিয়া বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। বৃষ্টি হলে কতদূর পর্যন্ত পানি উঠবে, দোকানিরা আগেই জানে। তাই মালপত্র উঁচুতে রাখা হয়। তারপরও অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, “রাতের বৃষ্টিতে ঢাকার প্রায় সব এলাকায় পানি জমেছিল। বেলা ১২টার মধ্যে আশিভাগ এলাকায় পানি নেমে গেছে। নিউ মার্কেটসহ কিছু এলাকায় এখনও পানি আছে, আমাদের কর্মীরা কাজ করছে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করার কারণে এবার অনেক এলাকায় আগের মতো জলাবদ্ধতা হয়নি। তবে বিমানবন্দর এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজ ও জলাধার ভরাটের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
দুই সিটি করপোরেশনই জানিয়েছে, ভারি বর্ষণ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। এ সময় দ্রুত পানি সরাতে তাদের ‘কুইক রেসপন্স টিম’ কাজ করবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-ড্রেন পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।