নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা দাবিতে ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া কর্মবিরতি ‘আংশিক’ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাওয়া টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে।
সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় দাবি আদায় পরিষদের সদস্য সচিব মো. ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এ কর্মসূচি যেহেতু একবারই হয়, তাই তারা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছেন। তবে এ সময় অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, “সামনে পরীক্ষা, এ সময় স্কুলও বন্ধ হয়ে যাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবও নাই। আমরা আজ ডিজি স্যারের সঙ্গে দুই-আড়াই ঘণ্টা মিটিং করেছি, জেলা-উপজেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ সময় ইপিআই এবং অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, শুধু টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
“এর মধ্যে যদি আমাদের দাবি পূরণে দৃশ্যমাণ কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে ৩০ অক্টোবরের পর থেকে আবার পুরোদমে কর্মসূচি চলবে।”
ছয় দফা দাবি আদায়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি ঘোষণা করে স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেদিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় টিকাদান কার্যক্রম চালান স্বাস্থ্য সহকারীরা। টিকাদানের কাজটি ‘টেকনিক্যাল’, কিন্তু তারা ‘টেকনিক্যাল’ পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে তারা বেতনে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তী সময়ে তারা কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করলেও প্রত্যেকবারই কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে ফিরতে হয়েছে।
চলতি বছরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন, কিন্তু সেই আশ্বাসও বাস্তবায়িত হয়নি।
২৮ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, বারবার দাবি আদায়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণেই তারা নতুন করে কর্মসূচি দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবি:
১. নিয়োগবিধি সংশোধন
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান সংযোগ
৩. ১৪তম গ্রেড প্রদান
৪. ‘ইন-সার্ভিস’ ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ
৫. ‘টেকনিক্যাল’ পদমর্যাদা প্রদান
৬. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ছয় দফা দাবিতে ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া কর্মবিরতি ‘আংশিক’ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাওয়া টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে।
সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় দাবি আদায় পরিষদের সদস্য সচিব মো. ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এ কর্মসূচি যেহেতু একবারই হয়, তাই তারা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছেন। তবে এ সময় অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, “সামনে পরীক্ষা, এ সময় স্কুলও বন্ধ হয়ে যাবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবও নাই। আমরা আজ ডিজি স্যারের সঙ্গে দুই-আড়াই ঘণ্টা মিটিং করেছি, জেলা-উপজেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ সময় ইপিআই এবং অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, শুধু টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
“এর মধ্যে যদি আমাদের দাবি পূরণে দৃশ্যমাণ কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে ৩০ অক্টোবরের পর থেকে আবার পুরোদমে কর্মসূচি চলবে।”
ছয় দফা দাবি আদায়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতি ঘোষণা করে স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেদিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় টিকাদান কার্যক্রম চালান স্বাস্থ্য সহকারীরা। টিকাদানের কাজটি ‘টেকনিক্যাল’, কিন্তু তারা ‘টেকনিক্যাল’ পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে তারা বেতনে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তী সময়ে তারা কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করলেও প্রত্যেকবারই কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে ফিরতে হয়েছে।
চলতি বছরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন, কিন্তু সেই আশ্বাসও বাস্তবায়িত হয়নি।
২৮ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, বারবার দাবি আদায়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণেই তারা নতুন করে কর্মসূচি দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবি:
১. নিয়োগবিধি সংশোধন
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান সংযোগ
৩. ১৪তম গ্রেড প্রদান
৪. ‘ইন-সার্ভিস’ ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ
৫. ‘টেকনিক্যাল’ পদমর্যাদা প্রদান
৬. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান