রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জাহিদ নামে এক যুবকের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার,(২৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিদের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিনধার্য করেন বিচারক। ওই চারজন হলেন- মো. সাজু, রুস্তুম, মো. আরমান এবং মো. সাজু ওরফে সাঞ্জু ওরফে সাব্বির।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার, চার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. মোশাররফ হোসেন। তবে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। এজন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে মাদক কারবারীদের দুইপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। একটি ককটেল তার শরীরে লেগে বিস্ফোরিত হলে গুরুতর আহত হন তিনি। তখন সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিলেও বাঁচাতে পারেননি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ২০ বছর বয়সের এ যুবক গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছিলেন।
তার মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার ২৭ জনের নামে ও নাম না জানা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন বোন মদিনা। পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় ৫০-৬০ জন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
শব্দ শুনে সেখানকার আশপাশের লোকজন বাসা থেকে বের হন। একপর্যায়ে বালতির ভেতর থেকে চুয়া সেলিম নামে এক আসামি বোমা বের করে আরেক আসামি সাজ্জাদের হাতে দেন।
সাজ্জাদ সেটি জাহিদকে লক্ষ্য করে ছোড়ে। বোমার বিস্ফোরণে জাহিদের মাথার খুলি ভেঙে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জাহিদ নামে এক যুবকের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার,(২৪ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিদের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিনধার্য করেন বিচারক। ওই চারজন হলেন- মো. সাজু, রুস্তুম, মো. আরমান এবং মো. সাজু ওরফে সাঞ্জু ওরফে সাব্বির।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শুক্রবার, চার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. মোশাররফ হোসেন। তবে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। এজন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে মাদক কারবারীদের দুইপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। একটি ককটেল তার শরীরে লেগে বিস্ফোরিত হলে গুরুতর আহত হন তিনি। তখন সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিলেও বাঁচাতে পারেননি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ২০ বছর বয়সের এ যুবক গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছিলেন।
তার মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার ২৭ জনের নামে ও নাম না জানা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন বোন মদিনা। পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় ৫০-৬০ জন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
শব্দ শুনে সেখানকার আশপাশের লোকজন বাসা থেকে বের হন। একপর্যায়ে বালতির ভেতর থেকে চুয়া সেলিম নামে এক আসামি বোমা বের করে আরেক আসামি সাজ্জাদের হাতে দেন।
সাজ্জাদ সেটি জাহিদকে লক্ষ্য করে ছোড়ে। বোমার বিস্ফোরণে জাহিদের মাথার খুলি ভেঙে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন।