ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মেট্রোরেলের ছাদে ওঠা ছেলেটি বিদ্যুতায়িত হয়নি এটাই আমাদের সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। এছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। ভূমিকম্পের সময় মেট্রোরেলের লাইনের ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেণ্ট হয়নি। সোমবার, (০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাসিক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহেমদ।
তিনি বলেন, গতকাল রোবববার রাতে একটা ছেলে মেট্রোরেলের দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে কোনো একটি জায়গা দিয়ে ছাদে উঠে গেছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটা জানা যায়নি। আবার ছাদে ওঠার ঘটনায় একজনকে পাওয়া গেলেও আরও কেউ সঙ্গে ছিল কিনা তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
মেট্রোরেলের ছাদে কিশোর ওঠে পড়ার ঘটনা ‘স্যাবোটাজ’ কিনা তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখছে বলে তিনি জানিয়েছেন। নিরাপত্তা বাড়াতে মেট্রো রেলস্টেশনগুলোর নিচে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে কোনো ঘটনার উৎস বোঝা যাবে। স্যাবোটাজ আছে কিনা- সেটাও বোঝা যাবে। এছাড়াও ‘গত কয়েকদিনে মেট্রো লাইনে ৭টি ককটেল পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) হয়নি। আমরা বারবারই বলেছি যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। কোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করব আমরা।
ভূমিকম্পের পরে ৪/৫ ঘণ্টা পুরো মেট্রোরেলের সব স্ট্রাকচার আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। সেখানে আমিও ছিলাম। কোনো কিছু ঘটলে নরমালি আমরা একটা ট্রেন টেস্ট রান চালাই পাবলিক সার্ভিসের আগে। ওইদিন আমরা দুটি ট্রেন দুইদিক থেকে চালিয়েছি।
এছাড়া ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলো আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। এটার জন্য আমাদের ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখেছি। মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে, সেটাও দেখেছি। এটা যে এআই প্রডিউস, এটা তো নির্ধারণ করতে আমাকে সময়টুকু দেবেন। আমরা পুরোটা চেক করে যেটা দেখেছি কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি।
একটা দেয়ালে একটু ক্র্যাক হয়েছে, দুইটা টাইলস পড়েছে, সিলিং থেকে দুইটা সিলিং প্যাড খুলেছে। আমার বাসার দেয়ালও তো ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো আমি বলতে পারবো না।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিস্রা তৌকির আহমেদ বলেন, সচিবারয় স্টেশন থেকে আটক কিশোরকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল থেকে বলা হয়েছে, মেট্রো স্টেশনে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। আর ভবঘুরে কিশোররা যাতে এভাবে ঢুকতে না পারে তার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। টিকেট থাকলেও তাদের সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে মেট্রো স্টেশনে দুর্বল নিরাপত্তা ও কর্তব্য গাফিলতির সুযোগে ওই কিশোর সবার চোখ এড়িয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছে বলে যাত্রীরা মন্তব্য করেন। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার অনেকেই মেট্রো স্টেশনে উঠা-নামার সময় নারী যাত্রীদের ধাক্কা দেয়। আবার অনেকেই উঠার সিঁড়িতে বসে আড্ডা দেয়, মোবাইল টিপে। কেউ নিষেধ করলে উল্টো ক্ষেপে যান এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
মেট্রোরেলের ছাদে ওঠা ছেলেটি বিদ্যুতায়িত হয়নি এটাই আমাদের সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। এছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। ভূমিকম্পের সময় মেট্রোরেলের লাইনের ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেণ্ট হয়নি। সোমবার, (০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাসিক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহেমদ।
তিনি বলেন, গতকাল রোবববার রাতে একটা ছেলে মেট্রোরেলের দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে কোনো একটি জায়গা দিয়ে ছাদে উঠে গেছে। তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটা জানা যায়নি। আবার ছাদে ওঠার ঘটনায় একজনকে পাওয়া গেলেও আরও কেউ সঙ্গে ছিল কিনা তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
মেট্রোরেলের ছাদে কিশোর ওঠে পড়ার ঘটনা ‘স্যাবোটাজ’ কিনা তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখছে বলে তিনি জানিয়েছেন। নিরাপত্তা বাড়াতে মেট্রো রেলস্টেশনগুলোর নিচে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে কোনো ঘটনার উৎস বোঝা যাবে। স্যাবোটাজ আছে কিনা- সেটাও বোঝা যাবে। এছাড়াও ‘গত কয়েকদিনে মেট্রো লাইনে ৭টি ককটেল পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) হয়নি। আমরা বারবারই বলেছি যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। কোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করব আমরা।
ভূমিকম্পের পরে ৪/৫ ঘণ্টা পুরো মেট্রোরেলের সব স্ট্রাকচার আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। সেখানে আমিও ছিলাম। কোনো কিছু ঘটলে নরমালি আমরা একটা ট্রেন টেস্ট রান চালাই পাবলিক সার্ভিসের আগে। ওইদিন আমরা দুটি ট্রেন দুইদিক থেকে চালিয়েছি।
এছাড়া ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলো আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। এটার জন্য আমাদের ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখেছি। মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে, সেটাও দেখেছি। এটা যে এআই প্রডিউস, এটা তো নির্ধারণ করতে আমাকে সময়টুকু দেবেন। আমরা পুরোটা চেক করে যেটা দেখেছি কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি।
একটা দেয়ালে একটু ক্র্যাক হয়েছে, দুইটা টাইলস পড়েছে, সিলিং থেকে দুইটা সিলিং প্যাড খুলেছে। আমার বাসার দেয়ালও তো ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো আমি বলতে পারবো না।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিস্রা তৌকির আহমেদ বলেন, সচিবারয় স্টেশন থেকে আটক কিশোরকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল থেকে বলা হয়েছে, মেট্রো স্টেশনে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। আর ভবঘুরে কিশোররা যাতে এভাবে ঢুকতে না পারে তার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। টিকেট থাকলেও তাদের সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে মেট্রো স্টেশনে দুর্বল নিরাপত্তা ও কর্তব্য গাফিলতির সুযোগে ওই কিশোর সবার চোখ এড়িয়ে ট্রেনের ছাদে উঠছে বলে যাত্রীরা মন্তব্য করেন। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার অনেকেই মেট্রো স্টেশনে উঠা-নামার সময় নারী যাত্রীদের ধাক্কা দেয়। আবার অনেকেই উঠার সিঁড়িতে বসে আড্ডা দেয়, মোবাইল টিপে। কেউ নিষেধ করলে উল্টো ক্ষেপে যান এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে।