হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ডাক্তারদের দেয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। তবে শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাকে বিশেষ তত্ত্বাবধানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
যুক্তরাজ্য থেকে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আসছে
সব প্রস্তুতি থাকলেও বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বোর্ডের পরামর্শই চূড়ান্ত
চিকিৎসায় সরকার সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমরা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং সেই সঙ্গে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেয়ার জন্য বিনীতভাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি।’দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ জানিয়েছেন, চিকিৎসায় সরকার সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর দোয়া ও ভালোবাসার কারণেই হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফ করবেন এবং দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অন্যান্য বিষয়ে মাঝে মধ্যে ব্রিফ করবেন। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া অন্য কারও কোনো বক্তব্যে কান না দেয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ডা. জাহিদ ২৯ নভেম্বর শুধু একবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এছাড়া দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারা একেকজন একেক সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন চেয়ারপারসনের অবস্থা স্থিতিশীল, কেউ বলেছেন সঙ্কটময়, কেউ বলেছেন তিনি লাইফ সাপোর্টে। এ ধরনের বক্তব্যে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত খবরে জনমনে উদ্বেগ দেখা দেয়াসহ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এরপরই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানান ডা. জাহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, ‘সম্মানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনারা ধৈর্য্য ধরুন, দীর্ঘ ছয় বছর যাবৎ আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এই যাত্রায়ও আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের সহযোগিতা পাবো। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবাণীতে আমরা আবারও আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মাঝে ফিরে পাবো। তিনি দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতীক সেটি আজকে প্রমাণিত, সেই লক্ষ্যেই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
জাহিদ হোসেন জানান, ‘খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপির সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে বর্তমান শারীরিক অবস্থা এবং মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে চীনের ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আরও একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল খালেদা জিয়াকে দেখতে আসছেন। তারা দেখার পর যদি মনে করেন যে, তিনি (খালেদা জিয়া) ভ্রমণের ধকল সহ্য করার মতো অবস্থায় আছেন (ট্রান্সফারেবল), তবেই তাকে বিদেশে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ সব প্রস্তুতি থাকলেও বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বোর্ডের পরামর্শই চূড়ান্ত বলে জানান ডা. জাহিদ।
ডা. জাহিদ আরও জানান, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।’
অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবায় কাজ করছেন। এই বোর্ডে রয়েছেন অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিন, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক জিয়াউল হক, অধ্যাপক মাসুম কামাল, অধ্যাপক এ জেড এম সালেহ, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম ও ডা. জাফর ইকবাল।
মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বিদেশি চিকিৎসকরা কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক রফিকউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জন হ্যামিল্টন, অধ্যাপক হামিদ রব এবং যুক্তরাজ্য থেকে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক, অধ্যাপক জেনিফার ক্রস ও ডা. জুবাইদা রহমানসহ অনেকে এই টিমে রয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ডাক্তারদের দেয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। তবে শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাকে বিশেষ তত্ত্বাবধানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
যুক্তরাজ্য থেকে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আসছে
সব প্রস্তুতি থাকলেও বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বোর্ডের পরামর্শই চূড়ান্ত
চিকিৎসায় সরকার সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমরা আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং সেই সঙ্গে কোনো ধরনের গুজব না ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেয়ার জন্য বিনীতভাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি।’দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ জানিয়েছেন, চিকিৎসায় সরকার সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর দোয়া ও ভালোবাসার কারণেই হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফ করবেন এবং দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অন্যান্য বিষয়ে মাঝে মধ্যে ব্রিফ করবেন। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া অন্য কারও কোনো বক্তব্যে কান না দেয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ডা. জাহিদ ২৯ নভেম্বর শুধু একবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এছাড়া দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারা একেকজন একেক সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন চেয়ারপারসনের অবস্থা স্থিতিশীল, কেউ বলেছেন সঙ্কটময়, কেউ বলেছেন তিনি লাইফ সাপোর্টে। এ ধরনের বক্তব্যে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত খবরে জনমনে উদ্বেগ দেখা দেয়াসহ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এরপরই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানান ডা. জাহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, ‘সম্মানিত সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনারা ধৈর্য্য ধরুন, দীর্ঘ ছয় বছর যাবৎ আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এই যাত্রায়ও আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের সহযোগিতা পাবো। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবাণীতে আমরা আবারও আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মাঝে ফিরে পাবো। তিনি দেশের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতীক সেটি আজকে প্রমাণিত, সেই লক্ষ্যেই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
জাহিদ হোসেন জানান, ‘খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপির সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে বর্তমান শারীরিক অবস্থা এবং মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া বিদেশে নেয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে চীনের ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আরও একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল খালেদা জিয়াকে দেখতে আসছেন। তারা দেখার পর যদি মনে করেন যে, তিনি (খালেদা জিয়া) ভ্রমণের ধকল সহ্য করার মতো অবস্থায় আছেন (ট্রান্সফারেবল), তবেই তাকে বিদেশে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ সব প্রস্তুতি থাকলেও বিদেশে নেয়ার বিষয়ে বোর্ডের পরামর্শই চূড়ান্ত বলে জানান ডা. জাহিদ।
ডা. জাহিদ আরও জানান, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।’
অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবায় কাজ করছেন। এই বোর্ডে রয়েছেন অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিন, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক জিয়াউল হক, অধ্যাপক মাসুম কামাল, অধ্যাপক এ জেড এম সালেহ, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম ও ডা. জাফর ইকবাল।
মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বিদেশি চিকিৎসকরা কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক রফিকউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জন হ্যামিল্টন, অধ্যাপক হামিদ রব এবং যুক্তরাজ্য থেকে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক, অধ্যাপক জেনিফার ক্রস ও ডা. জুবাইদা রহমানসহ অনেকে এই টিমে রয়েছেন।