জুলাই আন্দোলনের সময় পুরান ঢাকার চানখারপুলে ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘ইশারায়, আকার ইঙ্গিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক।
মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে পরে হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী এসব তথ্য দেন।
আদালতে শুনানির সময় সাবেক সংসদ সদস্য সেলিমকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এতে বলা হয়, আদালতের আদেশে রিমান্ড পেয়ে মামলার ১২ নম্বর আসামি হাজী সেলিমকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি কথা বলতে না পারায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘ইশারায়, আকার ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন। এসব তথ্য মামলার তদন্তে সহায়ক হবে। তার দেয়া তথ্য মামলার তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে।
তার জামিনের বিরোধিতা করে আবেদনে বলা হয়, আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভবনা আছে।
মামলার তদন্তের স্বার্থে পরে তাকে পুনরায় রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মনির হত্যা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, সরকার পতনের দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মনির। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাম ও পরিচয় দিয়ে ৩৫১ জনকে এবং নাম না দিয়ে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের সময় পুরান ঢাকার চানখারপুলে ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘ইশারায়, আকার ইঙ্গিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক।
মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে পরে হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ। প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী এসব তথ্য দেন।
আদালতে শুনানির সময় সাবেক সংসদ সদস্য সেলিমকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এতে বলা হয়, আদালতের আদেশে রিমান্ড পেয়ে মামলার ১২ নম্বর আসামি হাজী সেলিমকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি কথা বলতে না পারায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘ইশারায়, আকার ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন। এসব তথ্য মামলার তদন্তে সহায়ক হবে। তার দেয়া তথ্য মামলার তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে।
তার জামিনের বিরোধিতা করে আবেদনে বলা হয়, আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভবনা আছে।
মামলার তদন্তের স্বার্থে পরে তাকে পুনরায় রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। বিচার কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মনির হত্যা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, সরকার পতনের দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মনির। দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় নাম ও পরিচয় দিয়ে ৩৫১ জনকে এবং নাম না দিয়ে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।