নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে কেন্দ্র করে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা শুরু হলে অন্তর্বর্তী সরকারের নীরব অবস্থানে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি অভিযোগ করেন, সরাসরি অনুরোধ জানানো হলেও সরকার কমিশনকে রক্ষা বা সমর্থনের কোনো অবস্থান নেয়নি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, “যখন নারী কমিশনের রিপোর্টটাকে নিয়ে ভালগার ক্যাম্পেইন শুরু হল অকথ্য ভাষায় এবং কমিশনের সদস্যরা নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে আছেন; তখন অন্তত সাতজন উপদেষ্টার কাছে আমি শুধু হোয়াটসঅ্যাপ না, সরাসরিভাবে আবেদন করেছি।
“বলেছি, অন্তত সরকার—আপনারা একটা আপনাদের অবস্থানটা বলেন এটার স্বপক্ষে, কিছু বলে নাই। যেটা বলেছেন, সেটা হচ্ছে যে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—এই কমিশনের রিপোর্ট তো সরকারের রিপোর্ট না।”
শনিবার রাজধানীর সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত বাংলাদেশ জ্বালানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “কোন কমিশনের রিপোর্ট সরকারের রিপোর্ট? তাহলে কেন নারী কমিশনের রিপোর্টটাকে সরকারের কমিশন না বলে এটাকে অপদস্ত করা হবে? পরে তো সেই শক্তি আরো বেশি প্রোথিত হয়েছে।
“সরকারের সেই সাহসটুকু ছিল না যে—তারা এই প্রতিবেদনকে ওউন করবে। তারা ভালগার ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে অবস্থান জানান দেবে; সেই সাহসটা ছিল না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বরং সরকার আক্রমণকারী শক্তিগুলোর কাছে অনেকটা ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন খাতে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপরই কমিশন ও এর সুপারিশকে ঘিরে সমালোচনা ও আক্রমণ বেড়ে যায়।
এর আগে অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বক্তব্যে কেবল সরকারের সমালোচনা না করে বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। প্রয়োজনে তাকে বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার অনুরোধও করেন। বক্তব্য শেষে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এর প্রেক্ষিতে বক্তব্য দিতে এসে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ নয়, বরং সরাসরি আবেদন করেও ফল পাওয়া যায় না।
“শুধুমাত্র নারী...আমি একটা দৃষ্টান্ত দিলাম, আরো অনেক দৃষ্টান্ত দিতে পারি। আদিবাসীদেরকে নিয়ে একই ঘটনা হয়েছে। আদিবাসী শব্দটা বলার কারণে ভালগার ক্যাম্পেইন হচ্ছে। আদিবাসী সমস্যা—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, এটি আমার অন্যায়—এই কথাটা বলা? কেন?”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমি মনে করি গত দেড় বছরে নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে বড় অবনতি হয়েছে। যতটুকু অগ্রগতি হতে পারত, সেই তুলনায় কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সেটার জন্য অবশ্যই বিশাল রাজনৈতিক শক্তি আছে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্য শক্তিগুলো আছে।
“শুধু নারী-পুরুষের সমঅধিকার না, যেকোনো মার্কার অব আইডেন্টিটি—ধর্ম, সংস্কৃতি, তাত্ত্বিক পরিচয়, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী—এই বৈচিত্র্যের যে পরিচয়গুলো আছে, সেগুলো ভিত্তিক সমতায় বিশাল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এমন না যে স্বৈরাচারী সরকারের সময় ছিল না। আরো বেশি ছিল, কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা ছিল—পরবর্তীকালে আমরা সেসব জায়গা থেকে বেরিয়ে আসব। সেটা হয়নি।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মজোটের (বিডব্লিউজিইডি) নির্বাহী সদস্য মনোয়ার মোস্তফা। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মারুফুল ইসলাম।
সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, “এই এনার্জি ট্রানজিশনটা জাস্ট (ন্যায্য) করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না—যদি কি না পুরো ট্রানজিশনটা জাস্ট না হয়। ইট ইজ ইকুয়ালি অ্যাবাউট দ্য প্রিন্সিপাল অব গভর্নেন্স অ্যান্ড জাস্টিস।
“এখন আমরা যদি গভর্নেন্স অ্যান্ড জাস্টিসের জায়গাতে কাজ করি, যেটা ক্যাপচার হয়েছিল। আমাদের এনার্জি সেক্টরে যে অর্গানাইজড ক্রাইম হয়েছে, সেটা আমরা মানলাম। কিন্তু সেটা সব জায়গাতেই হয়েছে। কিন্তু এমন একটি দেশে কীভাবে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন প্রত্যাশা করা যায়; যেখানে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, বিশ্বাসের বৈচিত্র্য, পরিচয়ের বৈচিত্র্য নিয়ে মানুষ থাকতে পারে না।
“যেখানে নারী তার অধিকারের কথা বললে হাজার হাজার মানুষ তাকে আক্রমণ করতে আসে। আর সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার বসে থেকে সেগুলোকে প্রশ্রয় দেয়; পরিষ্কারভাবে বলতে হয় যে প্রশ্রয় দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “যেখানে আইনের শাসনের ন্যূনতম জায়গাটা প্রতিষ্ঠা করতে তারা ব্যর্থ হন, যেখানে মানুষের উপর আক্রমণ হচ্ছে; ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু যারা আক্রমণ করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই। আর যিনি আক্রান্ত, তাকে জেলে রাখা হচ্ছে।
“এটা নারীর বেলায় সত্য, বাউলের বেলায় সত্য, আদিবাসীর বেলায় সত্য। যেকোনো ভিন্ন মতের ক্ষেত্রেও সত্য। যারা আজ অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তারা পরিষ্কারভাবে পক্ষ নিয়েছেন। তারা নিরপেক্ষ নন।”
কাজী মারুফুল ইসলাম আরও বলেন, “তারা সেই পক্ষকে নিয়েছেন, যারা মানুষের ভিন্নতা, বৈচিত্র্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—এসব জায়গায় আক্রমণ করে। তাদের রক্ষাকর্তা বা প্রশ্রয়দাতা এমনকি উৎসাহদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে ইনজাস্টিস যখন থাকে, তখন এনার্জি সেক্টরে জাস্টিস পাওয়া প্রায় অসম্ভব।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে কেন্দ্র করে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা শুরু হলে অন্তর্বর্তী সরকারের নীরব অবস্থানে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি অভিযোগ করেন, সরাসরি অনুরোধ জানানো হলেও সরকার কমিশনকে রক্ষা বা সমর্থনের কোনো অবস্থান নেয়নি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, “যখন নারী কমিশনের রিপোর্টটাকে নিয়ে ভালগার ক্যাম্পেইন শুরু হল অকথ্য ভাষায় এবং কমিশনের সদস্যরা নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে আছেন; তখন অন্তত সাতজন উপদেষ্টার কাছে আমি শুধু হোয়াটসঅ্যাপ না, সরাসরিভাবে আবেদন করেছি।
“বলেছি, অন্তত সরকার—আপনারা একটা আপনাদের অবস্থানটা বলেন এটার স্বপক্ষে, কিছু বলে নাই। যেটা বলেছেন, সেটা হচ্ছে যে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—এই কমিশনের রিপোর্ট তো সরকারের রিপোর্ট না।”
শনিবার রাজধানীর সামরিক জাদুঘরে আয়োজিত বাংলাদেশ জ্বালানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “কোন কমিশনের রিপোর্ট সরকারের রিপোর্ট? তাহলে কেন নারী কমিশনের রিপোর্টটাকে সরকারের কমিশন না বলে এটাকে অপদস্ত করা হবে? পরে তো সেই শক্তি আরো বেশি প্রোথিত হয়েছে।
“সরকারের সেই সাহসটুকু ছিল না যে—তারা এই প্রতিবেদনকে ওউন করবে। তারা ভালগার ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে অবস্থান জানান দেবে; সেই সাহসটা ছিল না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বরং সরকার আক্রমণকারী শক্তিগুলোর কাছে অনেকটা ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন খাতে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপরই কমিশন ও এর সুপারিশকে ঘিরে সমালোচনা ও আক্রমণ বেড়ে যায়।
এর আগে অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বক্তব্যে কেবল সরকারের সমালোচনা না করে বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। প্রয়োজনে তাকে বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার অনুরোধও করেন। বক্তব্য শেষে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এর প্রেক্ষিতে বক্তব্য দিতে এসে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ নয়, বরং সরাসরি আবেদন করেও ফল পাওয়া যায় না।
“শুধুমাত্র নারী...আমি একটা দৃষ্টান্ত দিলাম, আরো অনেক দৃষ্টান্ত দিতে পারি। আদিবাসীদেরকে নিয়ে একই ঘটনা হয়েছে। আদিবাসী শব্দটা বলার কারণে ভালগার ক্যাম্পেইন হচ্ছে। আদিবাসী সমস্যা—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, এটি আমার অন্যায়—এই কথাটা বলা? কেন?”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমি মনে করি গত দেড় বছরে নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে বড় অবনতি হয়েছে। যতটুকু অগ্রগতি হতে পারত, সেই তুলনায় কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সেটার জন্য অবশ্যই বিশাল রাজনৈতিক শক্তি আছে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্য শক্তিগুলো আছে।
“শুধু নারী-পুরুষের সমঅধিকার না, যেকোনো মার্কার অব আইডেন্টিটি—ধর্ম, সংস্কৃতি, তাত্ত্বিক পরিচয়, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী—এই বৈচিত্র্যের যে পরিচয়গুলো আছে, সেগুলো ভিত্তিক সমতায় বিশাল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এমন না যে স্বৈরাচারী সরকারের সময় ছিল না। আরো বেশি ছিল, কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা ছিল—পরবর্তীকালে আমরা সেসব জায়গা থেকে বেরিয়ে আসব। সেটা হয়নি।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মজোটের (বিডব্লিউজিইডি) নির্বাহী সদস্য মনোয়ার মোস্তফা। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মারুফুল ইসলাম।
সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, “এই এনার্জি ট্রানজিশনটা জাস্ট (ন্যায্য) করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না—যদি কি না পুরো ট্রানজিশনটা জাস্ট না হয়। ইট ইজ ইকুয়ালি অ্যাবাউট দ্য প্রিন্সিপাল অব গভর্নেন্স অ্যান্ড জাস্টিস।
“এখন আমরা যদি গভর্নেন্স অ্যান্ড জাস্টিসের জায়গাতে কাজ করি, যেটা ক্যাপচার হয়েছিল। আমাদের এনার্জি সেক্টরে যে অর্গানাইজড ক্রাইম হয়েছে, সেটা আমরা মানলাম। কিন্তু সেটা সব জায়গাতেই হয়েছে। কিন্তু এমন একটি দেশে কীভাবে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন প্রত্যাশা করা যায়; যেখানে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, বিশ্বাসের বৈচিত্র্য, পরিচয়ের বৈচিত্র্য নিয়ে মানুষ থাকতে পারে না।
“যেখানে নারী তার অধিকারের কথা বললে হাজার হাজার মানুষ তাকে আক্রমণ করতে আসে। আর সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার বসে থেকে সেগুলোকে প্রশ্রয় দেয়; পরিষ্কারভাবে বলতে হয় যে প্রশ্রয় দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “যেখানে আইনের শাসনের ন্যূনতম জায়গাটা প্রতিষ্ঠা করতে তারা ব্যর্থ হন, যেখানে মানুষের উপর আক্রমণ হচ্ছে; ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু যারা আক্রমণ করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই। আর যিনি আক্রান্ত, তাকে জেলে রাখা হচ্ছে।
“এটা নারীর বেলায় সত্য, বাউলের বেলায় সত্য, আদিবাসীর বেলায় সত্য। যেকোনো ভিন্ন মতের ক্ষেত্রেও সত্য। যারা আজ অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তারা পরিষ্কারভাবে পক্ষ নিয়েছেন। তারা নিরপেক্ষ নন।”
কাজী মারুফুল ইসলাম আরও বলেন, “তারা সেই পক্ষকে নিয়েছেন, যারা মানুষের ভিন্নতা, বৈচিত্র্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—এসব জায়গায় আক্রমণ করে। তাদের রক্ষাকর্তা বা প্রশ্রয়দাতা এমনকি উৎসাহদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে ইনজাস্টিস যখন থাকে, তখন এনার্জি সেক্টরে জাস্টিস পাওয়া প্রায় অসম্ভব।”