পুরনো হাতিয়ার ব্যবহার করে নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে কিনা- প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেছেন, ‘যারা ইয়ার্কির (ব-আরকি, ব্যঙ্গবিদ্রুপভিত্তিক ওয়েবসাইট) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তারা তো দাবি করছেন যে তারা নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। তো সেই কাজগুলো কি এইভাবেই হবে? পুরনো সব হাতিয়ার ব্যবহার করে? পুরনো সব আইন ব্যবহার করে?’
শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন: মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ ও ফান ম্যাগাজিন ‘ব-আরকি’ এ সভার আয়োজন করে। সভায় স্যাটায়ারিস্ট, কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিগত সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রসঙ্গ টেনে সারা হোসেন বলেন, সে সময় বলা হয়েছিল যে কেউ যদি কোনোভাবে সংবিধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, সেটাকেও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে দেখা হবে। সেটার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কথা বলার জন্য শাস্তির পাওয়ার সেই চর্চা থেকে সবাই বের হয়ে আসতে চাইছে।
তিনি বলেন, মিম ও কার্টুনের গুরুত্ব হলো তামাশার মাধ্যমে ক্ষমতাশালীদের প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। এখনকার সময়ে এগুলো সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে। সেজন্য এসবের সামাজিক আর রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এগুলোর একটি স্পেস রাখা দরকার। সেই স্পেসটাকেই মামলা দিয়ে সংকীর্ণ করার চেষ্টা হচ্ছে।
অনলাইনে ‘অপপ্রচার’ ও নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে কয়েকটি ফেইসবুক পেইজ ও আইডির বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
ওইদিন তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সাইবার সাপোর্ট ইউনিটের সঙ্গে ফলপ্রসূ মিটিং করেছি। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। একই সঙ্গে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজকে (শনিবার) আমরা এখানে লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগগুলো দিয়েছি।’
এ মামলার বিষয়ে সারা হোসেন বলেন, মামলা করার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে যাওয়া হয়েছে। শুনেছি ডিবিতেও যাওয়া হয়েছে। এগুলো কি মামলা করার আগে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া? এ ধরনের মামলা করতে যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদেরও প্রশ্নের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানান ‘উন্মাদ’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) শিক্ষক সুমন রহমান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, লেখক ফিরোজ আহমেদ, ‘স্যাটায়ারিস্ট’ সিমু নাসের, কার্টুনিস্ট মেহেদী হক প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
পুরনো হাতিয়ার ব্যবহার করে নতুন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে কিনা- প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন বলেছেন, ‘যারা ইয়ার্কির (ব-আরকি, ব্যঙ্গবিদ্রুপভিত্তিক ওয়েবসাইট) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তারা তো দাবি করছেন যে তারা নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। তো সেই কাজগুলো কি এইভাবেই হবে? পুরনো সব হাতিয়ার ব্যবহার করে? পুরনো সব আইন ব্যবহার করে?’
শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্যাটায়ার, মিম ও কার্টুন: মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ ও ফান ম্যাগাজিন ‘ব-আরকি’ এ সভার আয়োজন করে। সভায় স্যাটায়ারিস্ট, কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিগত সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রসঙ্গ টেনে সারা হোসেন বলেন, সে সময় বলা হয়েছিল যে কেউ যদি কোনোভাবে সংবিধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, সেটাকেও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে দেখা হবে। সেটার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কথা বলার জন্য শাস্তির পাওয়ার সেই চর্চা থেকে সবাই বের হয়ে আসতে চাইছে।
তিনি বলেন, মিম ও কার্টুনের গুরুত্ব হলো তামাশার মাধ্যমে ক্ষমতাশালীদের প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। এখনকার সময়ে এগুলো সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে। সেজন্য এসবের সামাজিক আর রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এগুলোর একটি স্পেস রাখা দরকার। সেই স্পেসটাকেই মামলা দিয়ে সংকীর্ণ করার চেষ্টা হচ্ছে।
অনলাইনে ‘অপপ্রচার’ ও নারী নেত্রীদের সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে কয়েকটি ফেইসবুক পেইজ ও আইডির বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
ওইদিন তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সাইবার সাপোর্ট ইউনিটের সঙ্গে ফলপ্রসূ মিটিং করেছি। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। একই সঙ্গে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজকে (শনিবার) আমরা এখানে লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগগুলো দিয়েছি।’
এ মামলার বিষয়ে সারা হোসেন বলেন, মামলা করার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে যাওয়া হয়েছে। শুনেছি ডিবিতেও যাওয়া হয়েছে। এগুলো কি মামলা করার আগে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া? এ ধরনের মামলা করতে যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদেরও প্রশ্নের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানান ‘উন্মাদ’ ম্যাগাজিনের সম্পাদক কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) শিক্ষক সুমন রহমান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, লেখক ফিরোজ আহমেদ, ‘স্যাটায়ারিস্ট’ সিমু নাসের, কার্টুনিস্ট মেহেদী হক প্রমুখ।