ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের সময় শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে পারেন বলে মনে করেন ৮৯ শতাংশ সাংবাদিক। নারী সাংবাদিকদের মধ্যে ৫০ শতাংশ যৌন হয়রানি এবং ৪০ শতাংশ যৌন আক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ডিজিটাল বিষয় নিয়ে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের এক জরিপের ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর দ্যা ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা রয়েছে। তার আগে ‘হাই রিস্ক, লো প্রিপেয়ার্ডনেস: জার্নালিস্ট সেফটি ইন ২০২৬ ইলেকশন’ শিরোনামের গবেষণাটি চালায় ডিজিটালি রাইট। ১৯টি জেলার ২০১ জন সাংবাদিকের ওপর মতামতের পাশাপাশি ১০টি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
জরিপে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ মৌখিক হয়রানি এবং ৭১ শতাংশ ভীতি প্রদর্শনকে প্রধান ঝুঁকি বলে মনে করেন। ৯০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা শারীরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং দলগুলোর কর্মীদের দিক থেকে ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নারী ও আঞ্চলিক সাংবাদিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকেও উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জরিপে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ মৌখিক হয়রানি এবং ৭১ শতাংশ ভীতি প্রদর্শনকে প্রধান ঝুঁকি বলে মনে করেন। ৯০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা শারীরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং দলগুলোর কর্মীদের দিক থেকে ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করার সময় শারীরিক হুমকির পাশাপাশি ডিজিটাল হয়রানিও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সাংবাদিকেরা। ৭৫ শতাংশ সাংবাদিক বলেছেন, তাদের বা তাদের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। ৬৫ শতাংশের কাছে হ্যাকিং একটি বড় ঝুঁকি। নারী সাংবাদিকরা অনলাইনে হয়রানি ও নজরদারি নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উত্তরদাতাদের অর্ধেকের বেশি মনে করেন, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার উদ্দেশে মানহানিকর প্রচারও চালানো হতে পারে।
সাংবাদিকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক লেবেলিং (পরিচয় আরোপ করা), গণমাধ্যমের ওপর আস্থার অভাব, উগ্রবাদ, গণপিটুনি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতা এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ছড়ানো অপতথ্য এবারের নির্বাচনে ঝুঁকি বাড়ার মূল কারণ।
অধিকাংশ সাংবাদিক মনে করেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি কোনো সংবাদমাধ্যমের নেই। নিরাপত্তাহুমকি মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা কাঠামো তাদের প্রতিষ্ঠানে নেই।
জরিপে অংশ নেয়া অধিকাংশ সাংবাদিক মনে করেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি কোনো সংবাদমাধ্যমের নেই। নিরাপত্তাহুমকি মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা কাঠামো তাদের প্রতিষ্ঠানে নেই। ২৪ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৭৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের সংবাদমাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা নীতিমালা নেই।
ডিজিটালি রাইটের জরিপ প্রতিবেদনে নির্বাচনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, সংবাদমাধ্যমে সুস্পষ্ট নিরাপত্তা প্রোটোকল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জেন্ডার-সংবেদনশীল সুরক্ষাব্যবস্থা এবং জরুরি ও আইনি সহায়তা পাওয়ার উন্নত সুযোগ।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, সমকালের সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন, টাইমস অব বাংলাদেশের সম্পাদক এম আবুল কালাম আজাদ, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরোপ্রধান শেখ সাবিহা আলম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবির, নিউ এজের প্রধান প্রতিবেদক মুস্তাফিজুর রহমান, আরটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের অ?্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল, একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ সংবাদদাতা শাহনাজ শারমিন। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রকল্প সমন্বয়ক (এশিয়া) মারিয়া পিটারসন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের সময় শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে পারেন বলে মনে করেন ৮৯ শতাংশ সাংবাদিক। নারী সাংবাদিকদের মধ্যে ৫০ শতাংশ যৌন হয়রানি এবং ৪০ শতাংশ যৌন আক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ডিজিটাল বিষয় নিয়ে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের এক জরিপের ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর দ্যা ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা রয়েছে। তার আগে ‘হাই রিস্ক, লো প্রিপেয়ার্ডনেস: জার্নালিস্ট সেফটি ইন ২০২৬ ইলেকশন’ শিরোনামের গবেষণাটি চালায় ডিজিটালি রাইট। ১৯টি জেলার ২০১ জন সাংবাদিকের ওপর মতামতের পাশাপাশি ১০টি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
জরিপে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ মৌখিক হয়রানি এবং ৭১ শতাংশ ভীতি প্রদর্শনকে প্রধান ঝুঁকি বলে মনে করেন। ৯০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা শারীরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং দলগুলোর কর্মীদের দিক থেকে ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নারী ও আঞ্চলিক সাংবাদিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকেও উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জরিপে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ মৌখিক হয়রানি এবং ৭১ শতাংশ ভীতি প্রদর্শনকে প্রধান ঝুঁকি বলে মনে করেন। ৯০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা শারীরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং দলগুলোর কর্মীদের দিক থেকে ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করার সময় শারীরিক হুমকির পাশাপাশি ডিজিটাল হয়রানিও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সাংবাদিকেরা। ৭৫ শতাংশ সাংবাদিক বলেছেন, তাদের বা তাদের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। ৬৫ শতাংশের কাছে হ্যাকিং একটি বড় ঝুঁকি। নারী সাংবাদিকরা অনলাইনে হয়রানি ও নজরদারি নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উত্তরদাতাদের অর্ধেকের বেশি মনে করেন, তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার উদ্দেশে মানহানিকর প্রচারও চালানো হতে পারে।
সাংবাদিকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক লেবেলিং (পরিচয় আরোপ করা), গণমাধ্যমের ওপর আস্থার অভাব, উগ্রবাদ, গণপিটুনি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতা এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ছড়ানো অপতথ্য এবারের নির্বাচনে ঝুঁকি বাড়ার মূল কারণ।
অধিকাংশ সাংবাদিক মনে করেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি কোনো সংবাদমাধ্যমের নেই। নিরাপত্তাহুমকি মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা কাঠামো তাদের প্রতিষ্ঠানে নেই।
জরিপে অংশ নেয়া অধিকাংশ সাংবাদিক মনে করেন, এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি কোনো সংবাদমাধ্যমের নেই। নিরাপত্তাহুমকি মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা কাঠামো তাদের প্রতিষ্ঠানে নেই। ২৪ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৭৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের সংবাদমাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা নীতিমালা নেই।
ডিজিটালি রাইটের জরিপ প্রতিবেদনে নির্বাচনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, সংবাদমাধ্যমে সুস্পষ্ট নিরাপত্তা প্রোটোকল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জেন্ডার-সংবেদনশীল সুরক্ষাব্যবস্থা এবং জরুরি ও আইনি সহায়তা পাওয়ার উন্নত সুযোগ।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, সমকালের সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন, টাইমস অব বাংলাদেশের সম্পাদক এম আবুল কালাম আজাদ, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরোপ্রধান শেখ সাবিহা আলম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবির, নিউ এজের প্রধান প্রতিবেদক মুস্তাফিজুর রহমান, আরটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের অ?্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল, একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ সংবাদদাতা শাহনাজ শারমিন। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রকল্প সমন্বয়ক (এশিয়া) মারিয়া পিটারসন।