ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শনাক্ত ব্যক্তিরা হলেন ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ।
রোববার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় ফয়সাল করিম মাসুদ গুলি চালান এবং আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলের চালকের আসনে ছিলেন।
তিনি বলেন, চিহ্নিত দুইজনকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তারা যেন সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পারে, সে জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও দেশের সকল বন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, সীমান্ত দিয়ে মানুষ পারাপারের সঙ্গে জড়িত এমন কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে এবং হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা এবং যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন—এমন ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) জানায়, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ফয়সালের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতের বাণিজ্য সংগঠন বেসিসের সদস্য।
এ ঘটনায় হাদির আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। চলন্ত একটি অটোরিকশায় থাকা শরীফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী গুলি চালায়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে এক দফা অস্ত্রোপচারের পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, শরীফ ওসমান হাদির অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।