সুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে বি কনভেনশন হলে আলোচিত ‘ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠক’-এর ঘটনায় আলোচনায় আসা সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সুমাইয়ার স্বামী সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে তদন্ত আদালত গঠন করেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের অভিযোগে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৭ আগস্ট আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১১ ডিসেম্বর গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক মামুন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামিদের জবানবন্দি এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত তদন্তে জানা গেছে, কারাগারে থাকা সুমাইয়া তাহমিদ জাফরিন দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থ যোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশ নেন। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত সদস্যদের নিয়মিত অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সংগঠিত করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন—এমন প্রাথমিক তথ্যও তদন্তে পাওয়া গেছে। মামলার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১ এলাকার জব্বার টাওয়ারের পাশে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ও দেশবিরোধী স্লোগান দেয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আন্তর্জাতিক: ট্রাম্পের অভিবাসী ফেরত অভিযান কি আরও জোরালো হবে
সারাদেশ: বোয়ালখালীতে কৃষকের গরু চুরি
সারাদেশ: বদলগাছীতে মহান বিজয় দিবস পালিত
সারাদেশ: হালদা নদী থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার