image

‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাই কমিশন’ কর্মসূচি: উত্তর বাড্ডায় পুলিশের বাধা

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

জুলাই ঐক্যের ডাকে আয়োজিত ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাই কমিশন’ কর্মসূচি রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় আটকে দিয়েছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে রামপুরা ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, হোসেন মার্কেটের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের আটকে রাখা হয়েছে এবং সেখানে তারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

শেখ হাসিনাসহ জুলাই গণহত্যার মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি এবং ‘ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে এই কর্মসূচি শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’।

এ পরিস্থিতিতে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বুধবার দুপুর থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আইভ্যাকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘নিরাপত্তার কারণে’ দিনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকার আইভ্যাক বুধবার দুপুর ২টায় বন্ধ করা হবে। যাদের ওই দিনের জন্য ভিসা আবেদন জমার স্লট নির্ধারিত ছিল, তাদের পরবর্তী সময়ে নতুন স্লট দেওয়া হবে।’

আর ‘জুলাই ঐক্য’র এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বাংলাদেশের ‘ক্রমাবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নিয়ে জোরালো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে নজরে আনা হয়েছে, যারা ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় মিশনকে কেন্দ্র করে একটি নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।’

ভারতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে উগ্রবাদী শক্তি যে মিথ্যা বয়ান তৈরি করতে চায়, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’ এটিকে দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করেনি এবং ভারতের কাছে অর্থবহ কোনো প্রমাণও উপস্থাপন করেনি।’

এর আগে সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। সেদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জুলাই অভ্যুত্থান দমনের চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে তারা দুইজন ভারতে অবস্থান করছেন।

‘নগর-মহানগর’ : আরও খবর

» শ্যামবাজারে ব্যবসায়ীকে হত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে নয়ন

» বিজয় দিবসে ৪০ মিনিট মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে

সম্প্রতি